নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচিকে 'নির্বাচনী স্টান্ট' বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায় “এই কর্মসূচিকে ভয় পেয়েছে বিজেপি।”
মঙ্গলবার থেকে শুরু হল রাজ্য সরকারের নতুন কর্মসূচি দুয়ারে সরকার। এদিন কলকাতার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ ক্যাম্প গুলি থেকে ১১ টি প্রকল্পের চটজলদি সমাধান মিলবে বলে দাবী রাজ্য সরকারের।
আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত শহরের ১৪৪ টি ওয়ার্ডে চার দফায় রাজ্য সরকারের ১১ টি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা শহরবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে এই শিবির চলবে। কর্মসূচি শুরুর প্রথম দিনেই শিবিরগুলিতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ডের জন্য আবেদন বেশি জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর মধ্যেই রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারি খরচে দলের প্রচার করা হচ্ছে কিনা বলেও সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “ঘরে ঘরে মমতা কর্মসূচি আসলে নির্বাচনী স্টান্ট। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার এর আগে এধরনের অনেক প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। কিন্তু মানুষ কিছু পায়নি। যদি বিডিওরা মানুষের কাছে যান, তাহলে ভালো। ইলেকশনকে কেন্দ্র করে স্টান্ট হচ্ছে।”
এই প্রসঙ্গে পাল্টা জবাব দিয়ে ফিরহাদ হাকিম জানান, “এই কর্মসূচিকে ভয় পেয়েছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের এখন কিছুই করার নেই, যতক্ষণ না নির্বাচন ঘোষণা হচ্ছে।”
অন্যদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সঙ্গে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের তুলনা টেনে তা নিয়ে প্রশ্ন শোনা গিয়েছে রাজ্যপালের গলাতেও। তাঁর প্রশ্ন, “রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথীর আদলে 'আয়ুষ্মান ভারত' প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রকল্পটি কিন্তু এ রাজ্যে লাঘু করেনি সরকার। কেন করা হয়নি?”
এর জবাব দিয়ে ফিরহাদ জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের থেকে রাজ্যের কাছে স্বাস্থ্যসাথী অনেক বেশি গুরত্বপূর্ণ। রাজ্যপালের কথা যত কম বলা যায়, ততই ভালো। চাকরি বাঁচানোর জন্য তিনি যা খুশি করতে পারেন।”
No comments:
Post a Comment