প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : করোনার সময়কালে সুস্থ থাকা কোনও চ্যালেঞ্জের কম নয়। একই সময়ে, শীতকালে বাতাসের গুণমান খারাপ হয়। এটি শ্বাসকষ্টজনিত রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন অনুসারে, লিভারের রোগটি ভারতের দশটি বড় রোগের মধ্যে গণ্য করা হয়। প্রতিবছর দেশে লিভার সম্পর্কিত ১০ লক্ষ কেস রয়েছে যা গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
লিভার শরীরের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা দেহকে ডিটক্স করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শর্করাগুলি ভেঙে গ্লুকোজ গঠনে তৈরি করে। লিভারে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা খাদ্য থেকে হজম ও পুষ্টির শোষণের জন্য প্রয়োজনীয়। এই জন্য, লিভারের স্বাস্থ্যকর হওয়া বাধ্যতামূলক। আপনি যদি নিজের লিভারকে স্বাস্থ্যকর ও সুরক্ষিত রাখতে চান তবে এই ১০ টি জিনিসকে আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন-
১.বেরি :
এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা পলিফেনলস বলে। পলিফেনল যকৃতের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। বেরিও প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
২.কফি :
কফি ফ্যাটি লিভার ডিজিজ থেকে লিভারকে রক্ষা করে। এ ছাড়া কফির সেবনও লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে। কফি প্রদাহ হ্রাস করে।
৩.গ্রীন-টি :
ওয়ার্ল্ড জার্নাল অফ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে গ্রিন টি ফ্যাট কমায়। এছাড়াও গ্রিন টি খাওয়া অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে মুক্তি দেয়।
৪.রসুন :
অ্যাডভান্সড বায়োমেডিকাল রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে এনএএফএলডি আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য রসুন উপকারী। এর ফলে ওজন কমে যায়। রসুন লিভারের জন্য একই ওষুধ।
৫.জলপাই তেল :
অতিরিক্ত ফ্যাট লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। এর জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। জলপাই তেল অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে।
৬.ওটমিল :
এটিতে ফাইবার এবং বিটা গ্লুকোজ রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখে। এছাড়াও লিভারে উপস্থিত ফ্যাট হ্রাস করে। এটি লিভারকে সুরক্ষিত রাখে।

No comments:
Post a Comment