প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সাথে সাথে শীত, ফ্লু এবং সংক্রমণের মতো মৌসুমী রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আপনি কতটা স্বাস্থ্যবান বা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, এই ঋতুতে রোগের ঝুঁকি হ্রাস হয় না।
নবজাতকের প্রতিরোধ ক্ষমতা পুরোপুরি বিকশিত হয় না, তাই তাদের সংক্রমণ এবং মৌসুমী ফ্লু হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এছাড়াও, তাদের ত্বক খুব নরম, যার কারণে ত্বকের সাথে সংক্রমণ বা ফুসকুড়ি সম্পর্কিত একটি ভয়ও রয়েছে। তাই এই মরশুমে আপনার বাচ্চাদের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তারা বাড়িতে বেশিরভাগ সময় ব্যয় করুক না কেন, কিছু জিনিস রয়েছে যা নবজাতকদের স্বাস্থ্যকর এবং সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করতে পারে।
পরিষ্কার থাকার জন্য পরিচ্ছন্নতা এবং স্নান জরুরি। শীতকালে, আপনার শিশুকে প্রতিদিন গরম জল দিয়ে স্নান করান। সারা দিন ধরে, কাপড় পরিবর্তন করার আগে গরম জলে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে শিশুর শরীর মুছুন। এটি শিশুর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করবে এবং ত্বকের আর্দ্রতাও অক্ষত থাকবে।
তেল মালিশ
ঠান্ডা এবং শুষ্ক বাতাস শিশুর ত্বকের আর্দ্রতা কেড়ে নেয় এবং এটি শুষ্ক করে তোলে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে শীতে আপনার বাচ্চাকে প্রতিদিন তেল দিয়ে মালিশ করুন। এটি করলে ত্বক তেল শুষে নেয় এবং নরম থাকে। তেলের মালিশ শিশুর হাড়কে মজবুত করে। এর জন্য আপনি সরিষা বা নারকেল তেল হালকা হালকা হালকা ম্যাসাজ করতে পারেন।
রোদে কিছুক্ষণ বসে থাকুন
ভিটামিন-ডি এর সবচেয়ে বড় উৎস হ'ল সূর্যের রশ্মি যা হাড়কে শক্তি দেয় এবং প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। আপনার শিশুকে স্নান বা কাপড় পরিবর্তন করানোর পরে কিছুক্ষণ রোদে বসে থাকুন। এটি করলে বিশ্বাস করা হয় যে সূর্যের রশ্মি জীবাণুকে মেরে ফেলে এবং শিশুর শরীরে উষ্ণতা সৃষ্টি করে।
আপনার বাচ্চার কাপড়ের যত্ন নিন
নবজাতকের ক্ষেত্রে সর্বদা গরম কাপড়ের পোশাকের ব্যবহার করুন । তাপমাত্রা পরিবর্তন হলেও এটি শিশুর শরীরকে উষ্ণ রাখবে। শিশুদের জন্য সর্বদা এমন পোশাক নিন যা শ্বাস নিতে সহজ হয় এবং মাথা ঢাকতে ভুলবেন না।
ভারী পোশাক বা কম্বল ব্যবহার করবেন না
শীতকালে বাচ্চাকে ভারী কম্বল পরানো হয়তো সঠিক হতে পারে, তবে বাস্তবে তা নয়। একটি ভারী কম্বল তাদের উষ্ণ রাখবে, তবে একই সাথে তারা এতে অস্থির হবে, কারণ তাদের হাত বা পা চালাতে সমস্যা হবে। তাই হালকা কম্বল ব্যবহার করুন এবং ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রাখুন।
ভ্যাকসিন
শীতের মরশুম রোগও বয়ে আনে, তাই নবজাতকের নিরাপদ নিশ্চিত করুন। সময়মতো ভ্যাকসিনের শিডিউল অনুসরণ করুন এবং একটিও ভ্যাকসিন মিস না করার বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
No comments:
Post a Comment