কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়ানে গভীর শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 15 November 2020

কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়ানে গভীর শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর


নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাশেষ হল এক স্বর্ণ যুগের। ৮৫ বছর বয়সে রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বাংলার তথা ভারতের চলচ্চিত্র  জগতের কিংবদন্তী নায়ক সৌমিত্র  চট্টোপাধ্যায়। এদিন তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ বেলভিউ হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  এরপর তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তাও জানান তিনি।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী শোক জানিয়ে লেখেন, “বাংলার তথা ভারতের  চলচ্চিত্র  জগতের কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র  চট্টোপাধ্যায় আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়ায় বাংলার সকল মানুষের হয়ে আমি আমাদের গভীর মর্মবেদনা প্রকাশ করছি।  তিনি আজ কলকাতায়  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। যে প্রতিভাবান  মানুষদের জন্য বিশ্বের দরবারে আমরা প্রতিনিধিত্ব পেয়েছি,  সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন।”

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, জগৎবরেণ্য চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায়ের চৌদ্দটি ছবি সহ  তিনি  দু'শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলি হল অপুর সংসার, চারুলতা, অভিযান, অরণ্যের দিনরাত্রি, অশনি সংকেত, সোনার কেল্লা, জয় বাবা ফেলুনাথ, হীরক রাজার দেশে, ঘরে বাইরে, গণশত্রু,  গণদেবতা, ঝিন্দের বন্দী, তিন ভুবনের পারে, ক্ষুধিত পাষাণ, কোনি ইত্যাদি।

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়  একাধারে ছিলেন প্রবাদপ্রতিম চলচ্চিত্র ও মঞ্চাভিনেতা, পাশাপাশি অসামান্য বাচিক শিল্পী, কবি, লেখক, নাট্যকার এবং নাট্যনির্দেশক।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১২ সালে সারা জীবনের অবদানের জন্য  চলচ্চিত্র পুরস্কার,  ২০১৫ সালে টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড (হল অফ ফেম) ও ২০১৭ সালে 'বঙ্গবিভূষণ' সম্মানে ভূষিত  করে। এছাড়াও  তিনি  তাঁর অসামান্য অভিনয়ের জন্য পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব  ফালকে পুরস্কার,  বিএফজেএ অ্যাওয়ার্ড, ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি টেগোর রত্ন অ্যাওয়ার্ড  সহ বিভিন্ন পুরষ্কার পেয়েছেন। ফ্রান্স সরকার শ্রীচট্টোপাধ্যায়কে ২০১৮ সালে তাঁদের সর্বোচ্চ সম্মান-  'লিজিয়ন দ্য অনার'- এ  ভূষিত করে।

শেষে মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেন, “সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার বিশেষ শ্রদ্ধা ও প্রীতির সম্পর্ক ছিল। আমাদের আমন্ত্রণে তিনি বঙ্গবিভূষণ পুরষ্কার গ্রহণ করতে নজরুল মঞ্চে যেমন আমাদের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, আবার পাশাপাশি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে উপস্থিত থেকেছেন। তাঁর সসম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ,  আন্তরিক ব্যবহারে তিনি সকল সময়ে আমাদের চিত্ত স্পর্শ করেছেন। তাঁর মৃত্যু বাংলার জনজীবনে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করল। আমি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের  পরিবার-পরিজন ও অসংখ্য অনুরাগীর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।” 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad