নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুর: শুধু রায়গঞ্জ শহরেই ২৮ জন সুপার স্প্রেডারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। আর এই সুপার স্প্রেডারই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের।
রায়গঞ্জের পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, সুপার স্প্রেডারদের কোনও ভাবেই বাড়ীতে রাখা যাবে না। হয় তাদের সেফ হোমে রাখতে হবে অথবা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। মঙ্গলবার চারজন সুপার স্প্রেডারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে রায়গঞ্জ শহরে। ২২ অক্টোবর প্রথম সুপার স্প্রেডারের সন্ধান মিলেছিল। আজ পর্যন্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ জন। তাদের রায়গঞ্জ কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কারা এই সুপার স্প্রেডার? স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য, যারা প্রতিদিন অনেক মানুষের সংস্পর্শে আসেন এবং নিজেদের অজান্তেই বিপুল সংখ্যক মানুষকে সংক্রামিত করেছেন তারা সুপার স্প্রেডার। সুপার স্প্রেডার যে কেউ হতে পারেন। পুলিশ, আইনজীবি সাংবাদিক, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা সুপার স্প্রেডার হতে পারেন। এমনকি বাজার ওয়ালারাও সুপার স্প্রেডার হতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে মানুষ বাজারে ভিড় করছেন। ফলে বাজার হয়ে উঠছে করোনা সংক্রমনের আঁতুড়ঘর। উপসর্গ ছাড়া বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তারা বুঝতে পারছেন না যে, নিজে কখন করোনা আক্রান্ত হয়ে গিয়েছেন। ফলে অজান্তে সংক্রামিত অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকেই, অফিস করছেন। আর তাদের সংস্পর্শে এসে বহু মানুষ সংক্রামিত হচ্ছেন। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে সেই উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। মূলত সুপার স্প্রেডার চিহ্নিত করতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। রায়গঞ্জ পৌরসভা গত ২২ শে অক্টোবর থেকে আজ অব্দি ২৮ জন সুপারস্টার চিহ্নিত হয়েছেন। আইসিএমআর -এর গাইডলাইন অনুযায়ী এরা কেউই বাড়ীতে থাকতে পারবেন না। রায়গঞ্জের চারজন সুপার স্প্রেডারের হদিশ মিলেছে।
No comments:
Post a Comment