অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ দায়ের, সরব বাংলার দর্শকরা

 

বুধবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্র পুলিশের এক মহিলা কর্তাকে গ্রেফতারে বাধা দেওয়ার ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে রিপাবলিক টিভির প্রধান সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী এবং দু'জনের বিরুদ্ধে ফের এফআইআর দায়ের করা হয় নতুন করে ।

 অর্ণব গোস্বামী এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ৩৫৩ ধারা ( দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার জন্য হামলা ), ৫০৪ ( লঙ্ঘন করার ইচ্ছাকৃত অবমাননা) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ (ফৌজদারি ভয়ভীতি) এর আওতায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে মুম্বইয়ের এনএম জোশি মার্গ থানায়।

 2018 সালে 53 বছরের ইন্টিরিওর ডিজাইনার অন্বেয় নায়েক এবং তার মা কুমুদ নায়েকের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে তার মুম্বাইয়ের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় অর্ণবকে ।

 প্রতিবেদন অনুসারে, বুধবার সকালে আলিবাগ পুলিশের একটি দল মুম্বাইয়ে তাঁর বাসভবনে পৌঁছালে রিপাবলিক টিভির সম্পাদক একজন মহিলা পুলিশ কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

 মুম্বাইয়ের লোয়ার পারেলের বাসভবন থেকে অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করতে যাওয়া  দলের সদস্য ছিলেন ওই মহিলা পুলিশ কর্তা ।

 অভিযোগ , সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করার সময় অর্ণব গোস্বামী, তাঁর স্ত্রী, ছেলে এবং অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি এবং এক মহিলা কর্তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

 পুলিশ আধিকারিকের অভিযোগ অনুসারে, পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে অর্ণব গোস্বামী তার ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।  তিনি পুলিশ দলকে তার আবাসের বাইরে 45 মিনিটেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করেছিলেন।

 ততক্ষণে একজন ক্যামেরা ক্রু ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দলের ভিজ্যুয়াল রেকর্ড করা শুরু করে।  তাদের পুলিশ ডিউটিতে বাধা না দেওয়ার জন্য এবং ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছিল।

 অর্ণব গোস্বামী দরজা খোলার পরে তাকে অ্যাসিস্ট্যান্ট -সুপারিনটেনডেন্ট প্রবিন পাতিল গ্রেপ্তারের বিষয়ে অবহিত করেছিলেন।  অর্ণব গোস্বামী অভিযোগ করেছিলেন যে পুলিশ তাকে লাঞ্ছিত করেছে।

 তার স্ত্রীকে তাকে স্বাক্ষর করার জন্য গ্রেপ্তারের কাগজপত্র দেওয়া হয়েছিল।  অর্ণব গোস্বামী যখন তাকে কোনও কাগজে স্বাক্ষর না করতে বলেছিলেন, তখন তিনি তা ছিঁড়ে ফেলে দেন।

 এরপরে অর্ণব গোস্বামী তার ছেলের কাছে পুলিশের করা নির্যাতনের একটি ভিডিও রেকর্ড করতে বলেছিলেন।  পুরো ঘটনা ক্যামেরায় একটি পুলিশ সদস্য রেকর্ড করেছিল এবং পরে সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়।

 অর্ণব গোস্বামীকে পুলিশ ভ্যানে ওঠাতে  দেখা যায়, তিনি দাবি করেছেন যে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার আগে পুলিশ তার বাড়িতে তাকে লাঞ্ছিত করেছিল।

 এদিকে, রিপাবলিক টিভি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) পাশাপাশি মহারাষ্ট্র মানবাধিকার কমিশনকে মুম্বাই ও রায়গড় পুলিশের বিরুদ্ধে "অন্যায়ভাবে এবং অবৈধভাবে গ্রেফতারের চেষ্টার  অভিযোগ করেছে।

 রিপাবলিক টিভি যখন একটি বিবৃতিতে বলেছিল যে অর্ণব গোস্বামীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল এবং "প্ররোচিত এবং মিথ্যা মামলায়" গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যা "প্রমাণ প্রদানের সম্পূর্ণ ব্যর্থতার কারণে আদালত  বন্ধ ছিল । "