এই পাঁচটি লক্ষণ যা চিহ্নিত করে আপনি হতাশার শিকার কিনা?

প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : হতাশা একটি খুব গুরুতর রোগ এতে ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ব্যক্তি আবেগগতভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সৃজনশীল দক্ষতার ক্ষতি হয়। হতাশায় ভুগছেন মানব অত্যন্ত নিঃসঙ্গ এবং অসহায় বোধ করে। সে জীবনে আনন্দ বোধ করে না, হতাশা তার ওপর পুরোপুরি আধিপত্য বিস্তার করে।

ডেইলি মেইলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং প্রেরণাদায়ী স্পিকার জ্যাচারি ডেরেনিওস্কি কোনও ব্যক্তির হতাশার ভয় চিহ্নিত করতে সহায়তা করার জন্য একটি উপায় তৈরি করেছেন। এটি আক্রান্ত ব্যক্তিকে অকাল হতাশা থেকে বাঁচাতে পারে।

এই পাঁচটি লক্ষণ যার ভিত্তিতে কোনও ব্যক্তির মধ্যে হতাশার লক্ষণগুলি চিহ্নিত করা যায়।

১. যদি কোনও ব্যক্তি সর্বদা বলেন যে সে ক্লান্ত, তবে বুঝতে হবে যে তার মধ্যে হতাশার আক্রমণ করেছে।

২. যারা ডাইভারশন বা বেকারত্বের মতো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় তারাও হতাশার শিকার হয়। এ জাতীয় ব্যক্তিকে যদি স্বাভাবিকের চেয়ে আলাদা আচরণ করতে দেখা যায় তবে সে হতাশায় পড়েছে।

৩. যদি কোনও ব্যক্তি ক্রমাগত বলে থাকে যে সে খুব ব্যস্ত এবং তিনি অকেজো জিনিস নিয়ে সময় ব্যয় করেন তবে তার মধ্যে হতাশার ভর রয়েছে ।

৪. যদি কোনও ব্যক্তি সর্বদা জিনিসগুলির সাথে জড়িত থাকে। যদি তার আচরণটি খুব রুক্ষ হয় এবং আবেগগতভাবে হতাশাগ্রস্থ থাকে, তবে ব্যক্তিটি হতাশায় নেমে আসে।

৫. যদি কোনও ব্যক্তি কোনো বিশেষ কথোপকথনে  কম আগ্রহী হওয়া শুরু করে,তবে তিনি যদি আগে সম্পর্কে প্রচুর কথা বলতেন তবে এ জাতীয় ব্যক্তির মধ্যে হতাশার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

জাচারি ডেরেনিস্কির মতে, এই লক্ষণগুলির ভিত্তিতে একজন ব্যক্তির মধ্যে হতাশা চিহ্নিত করা যেতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, সেই ব্যক্তির আশেপাশের লোকদের সময় মতো চিকিৎসা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা উচিৎ। এর সাহায্যে তিনি অনেক ঝামেলা এড়াতে পারেন।

এর বাইরে ডেরেনিয়োস্কি এমন কিছু প্রতিবাদও দিয়েছেন যার ভিত্তিতে কোনও ব্যক্তিকে হতাশায় যেতে বাধা দেওয়া যায়।

তিনি কিছু প্রতিমা সম্পর্কে বলেছেন যে, এই প্রতিমার ব্যবহারগুলি হতাশাগ্রস্থ ব্যক্তিকে আরও হতাশার দিকে পরে যাওয়া থেকে বাধা দেয়। যদিও এই প্রতিমাগুলি লোকেদের সান্ত্বনা  দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়, তবে এই শব্দগুলি তাদের উপর ব্যর্থ হয়।

যদি আপনি মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে লড়াই করে এমন একজন ব্যক্তিকে যদি বলেন যে সব কিছু হওয়ার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে তবে এই শব্দটি ভাল লাগার পরিবর্তে তাকে কষ্ট দেবে। একইভাবে আপনি তাকে বলেছেন নিশ্চয় যে শান্ত থাকুন এবং এই সব ভুলে যান এবং এগিয়ে যান,কিন্তু এর বিপরীত প্রভাবও রয়েছে।