দশমীর দিন থেকে পুনরায় দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয় এই গ্রামে - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 28 October 2020

দশমীর দিন থেকে পুনরায় দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয় এই গ্রামে


নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরদুর্গা পুজো শেষ হতে আবারও দুর্গা পূজায় মেতে উঠেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রামের মানুষ। প্রায় চার বিঘা জমির মধ্যে প্রাচীন একটি গাছের তলায় মন্দিরে দেবীর পুজো হয়। তবে এবছর নতুন মন্দির তৈরি হওয়ায় সেখানেই দেবীর আরাধনা চলছে। 

প্রতি বছরের মতো এবারও দশমীর দিন থেকে দেবীর পুজো শুরু হয়েছে। পুরানো রীতি মেনে আজও খাদিমপুরের বলাইচন্ডী রুপী দুর্গা পুজোয় চলে আসছে বলি প্রথা। পুজোর দিন দেবীকে সোনা ও রূপার গয়না দিয়ে সাজানো হয় রীতিনীতি মেনে। আর পাঁচজন বাঙালি যেমন বছরের প্রথম থেকেই দুর্গা পুজোর প্রতীক্ষায় থাকেন, ঠিক তেমনই খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দারা অপেক্ষায় থাকেন দুর্গা পুজো শেষ হওয়ার। পরিবারের মঙ্গল কামনায় পুজোর দিনে খাদিমপুর গ্রামের প্রতিটি বাড়ীতে চলে নিরামিষ ভোজন। 

পুজো কমিটির সদস্যরা জানান, দেবী দুর্গা এখানে মা চন্ডী রূপে পুজিতা হন। এখানে দেবী দুর্গার দশ হাতের পরিবর্তে থাকে চারটি হাত এবং এখানে মহিষ, অসুর কেউই থাকেনা। পুজো দেখতে দূরদূরান্তের বহু মানুষের সমাগম হয় এই গ্রামে। মা বলাইচন্ডী রূপী দুর্গার কাছে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো দিলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়, এমনটাই বিশ্বাস করেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে এই পুজো কবে থেকে শুরু হয়েছিল তা সঠিক ভাবে না বলা গেলেও আনুমানিক ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে মা বলাইচন্ডী রূপে এখানে দেবী দুর্গার পূজা হয়ে আসছে বলে জানা গিয়েছে। দশমীর দিন রাতে পুজোর পর এই মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হয় না। মন্দিরে মূর্তি রেখে গোটা বছর মায়ের পুজো চলে। প্রতিবছর পুজো উপলক্ষ্যে মন্দির চত্বরে মেলা বসলেও এবছর করোনা আবহের জেরে প্রশাসন থেকে অনুমতি না মেলায় কেবল পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে পুজো কমিটির উদ্যোগে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করা হয়েছে দর্শনার্থীদের মধ্যে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad