প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : বহু প্রাচীনকাল থেকে মেথির বীজ আমাদের রান্নাঘরের একটি অংশ হয়ে আছে। এর স্বাদ বাড়ানোর জন্য ভারতের প্রতিটি গৃহস্থের খাবারে মেথি ব্যবহার করা হয়। স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও মেথি বীজ স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুব ভাল। সাধারণ মশলা থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সম্পর্কে মানুষ সচেতন নয়।
মেথির বীজে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মেথি বা মেথির বীজ চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি যদি তরকারী বা শাকসব্জিতে মেথি অন্তর্ভুক্ত না করতে চান তবে এটি প্রতিদিন ব্যবহারেরও সহজ উপায়। এর সবচেয়ে সহজ সমাধান হ'ল মেথির জল খাওয়া। মেথির জল ঘরে বসে সহজেই তৈরি করা যায়।
মেথির জল কীভাবে প্রস্তুত করবেন?
একটি পাত্রে মেথি বীজ অন্তর্ভুক্ত করুন। এর পরে হালকা আঁচে বীজটি ভাজুন। ভাজার পরে বীজের গুঁড়া তৈরি করুন। এক গ্লাস গরম জলে এক চা চামচ মেথি বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এখন আপনার মেথির জল প্রস্তুত। স্বাস্থ্যের সুবিধাগুলি কাটাতে আপনি সকালে পান করতে পারেন।
মেথির জল পান করার উপকারিতা: মেথির জল পান করে যে কেউ সারা দিন নিজেকে সন্তুষ্ট রাখতে পারে। মেথির মধ্যে পাওয়া আঁশগুলি পূর্ণতার অনুভূতি দেয়। এটি আপনার ওজন ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। আপনি যখন পূর্ণ বোধ করবেন তখন আপনি খুব বেশি ক্যালোরি খেতে পারবেন না। এইভাবে, আপনি অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হবেন। এগুলি ছাড়াও দাগ পড়াও স্বস্তি দেয়।
মেথির বীজে পুষ্টিকর উপাদান থাকে চুল বাড়ার জন্য সহায়ক। মেথির জল পান করা চুলের বৃদ্ধিতে উৎসাহ দেয়। চুলের সমস্যা যেমন খুশকি দূর করবে শুষ্কতা। মেথির জল আপনার শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন অপসারণে সহায়তা করে। যা অন্ত্রের গতি সঞ্চারে সহায়তা করবে। এভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজমের মতো হজম সমস্যার বিরুদ্ধে মেথি ব্যবহার করা যেতে পারে।
মেথির বীজ ডায়াবেটিস নিরাময়ের পক্ষেও প্রমাণিত। মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। মেথির বীজে পাওয়া অ্যামিনো অ্যাসিড যৌগ অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়ায়। যা শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। মেথির ব্যবহার কিডনির স্বাস্থ্যও বাড়ায়।
No comments:
Post a Comment