ওড়িশার ঝারসুগুদা জেলায়, এক পঞ্চাশ বছরের দৈনিক মজুর শ্রমিক এক বছরেরও বেশি সময় ধরে 'স্বচ্ছ ভারত মিশনের' আওতায় নির্মিত একটি বাথরুমে জীবনযাপন করছেন। তার কাঁচা বাড়ি বৃষ্টিতে ধসে পড়েছিল। ঝাড়সুগুদা জেলার লক্ষণপুর ব্লকের পুজারিপল্লি গ্রামের দিন মজুর শ্রমিক জোগেন্দ্র নিখুন্তি এক বছর বাথরুমে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।
তার স্ত্রী এবং শিশুরা মদ্যপানের অভ্যাসের কারণে তাকে ছেড়ে চলে গেছে এবং ছত্তিশগড়ে বসবাস শুরু করেছে। তখন থেকে তিনি এখানে একা রয়েছেন। জোগেন্দ্র নিখুন্তি বলেছেন, "গত বছর বর্ষা মরশমে আমার কাঁচা বাড়িটি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল এবং তখন থেকে আমি একটি বাথরুমে থাকি যা সরকার নির্মিত। ঘরের অভ্যন্তরে ফিট হওয়া আমার কাছে খুব কঠিন মনে হয়েছিদ, তবে কোনওভাবেই ঘুমাতে হয়, কারণ এর বাইরে আমার আর কোনও জায়গা নেই। আমি ভীখামপালি গ্রাম পঞ্চায়েতেকে বলেছি, যিনি আমাকে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছুই করেনি। ''
তিনি আরও বলেন যে, গত কয়েকমাস ধরে তাকে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের (এনএফএসএ) আওতায় খাদ্যশস্য দেওয়া হচ্ছে না। পঞ্চায়েত কৃষ্ণ কালো বলেছেন যে, তাঁর আধার কার্ডটি এনএফএসএ কার্ডের সাথে সংযুক্ত না হওয়ায় তাকে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হচ্ছে না। আমি জানি না তার আধার কার্ড আছে কি না। তবে যদি সে তার আধার কার্ডটি পেয়ে থাকেন, তবে আমরা খাদ্যশস্য সরবরাহের জন্য এনএফএসএর সাথে একত্রিত করতে পারি।
No comments:
Post a Comment