ভাসান উপলক্ষে বাঁধনহারা হল এক শ্রেণীর মানুষ। এদিন বিজয়ার প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে বেশ কিছু পুজো কমিটি নিজেদের মন্ডপ প্রাঙ্গণে ডিজে ও গান বাজিয়ে নাচের ব্যবস্থা করে দেয়। গান ও মিউজিকের তালে নাচে অংশ নেওয়া শতাধিক মানুষ মাস্ক ও শারীরিক দূরত্ব বিধি মানেননি। পুজো কমিটির দাবি এলাকার ছেলেমেয়েরাই আনন্দ করেছে। বাইরের কেউ ছিল না। করোনাকালে তৈরি হওয়া দীর্ঘ মানসিক অবসাদ এবার কাটবে।
বিজয়া অনুষ্ঠান ঘিরে কোভিড ১৯ প্রোটোকল না মানার ছবি পশ্চিমবঙ্গের মত ঢাকার একটি পুজো মন্ডপেও ধরা পড়েছে।
এক শ্রেণীর মানুষ অবশ্য দুই বাংলার এই আনন্দ উদযাপন করতে গিয়ে কোভিড১৯ প্রোটোকল না মানা নিয়ে সরব হয়েছেন।
প্রশ্ন তোলা সচেতন মানুষজনের উদ্দেশ্যে পাল্টা প্রশ্ন উঠেছে, বাজারে এবং কর্ম ক্ষেত্রে যাতায়াতের সময় গন পরিবহন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোনও প্রশ্ন কেউ তুলছেন না। অথচ, পুজো উপলক্ষ্যে করা আনন্দে অংশ নেওয়ায় প্রশ্ন কেন? এমনকি রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরেও ভিড় জমায়েত হচ্ছে তখন কেন প্রশ্ন উঠছেনা।
অনেক নাগরিক পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার পরিসংখ্যানের সাথে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান দিয়ে তুলনা করছেন। নাগরিকদের যুক্তি পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা নয় কোটির বেশি সেখানে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত হয় সক্রিয়দের সংখ্যা, ৩৭ হাজারের কিছু বেশি। আর মৃত্যুর সংখ্যা ৬,৫৪৬ ।
বিজয়া শেষে জোর বিতর্ক এখন পুজোর আনন্দে অংশ নেওয়া নিয়ে। যদিও এদিনই কলকাতায় দেখাগেছে মাস্ক পিপিই কিট পরে ধুনুচি নাচ করতে।
মাস্ক ও পিপিই কিট পরে ধুনুচি নাচ দেখল কলকাতা। করোনা আবহে ঈদ পালন দেখেছে বিশ্ব। ঈদ পালনের ক্ষেত্রে পিপিই কিট পরার ছবি প্রকাশ্যে না আসলেও হিন্দু বাঙালীদের ক্ষেত্রে দুর্গা পুজা অন্যতম বড় উৎসব।
রাজ্যে কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা এবং হাওড়া এই তিন জেলা করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে এগিয়ে । এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ থেকে সতর্ক হয়েই পুজোয় অংশগ্রহণ করেছে উৎসব প্রিয় মানুষ। এদিন বাবুঘাটে দেখা গেল বিসর্জনের আগে দেবি দুর্গার সামনে ধুনুচি নাচ করা অংশগ্রহণ কারীরা পিপিই কিট ও মাস্ক পরেছেন।
No comments:
Post a Comment