অরিন্দম বসু , প্রেসকার্ড নিউজ : লোকসভা নির্বাচনে তিনশোর বেশি আসনে জেতা নরেন্দ্র মোদী দুই সরকারের কাছে বড়ো চ্যালেঞ্জ। লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর তিন তালাক আইন তুলে দেওয়া , ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা কাশ্মীর থেকে তুলে কেন্দ্র শাসিত করা, নাগরিকত্ব এবং কৃষি আইন করার পর প্রথম নির্বাচনে লড়তে যাচ্ছে বিজেপি। দেড় বছরের মধ্যে এত গুলো সংস্কার ভোটাররা কি ভাবে নিয়েছে তার রায় পাওয়া যাবে বিহার নির্বাচনের রায়ে। এমনকি বিহার নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল।
বিহারে এনডিএ জোটের নীতীশ কুমারের উল্টোদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত জনপ্রিয় নেত্রী নেই। ফলে বিজেপিকে বিহারের তুলনায় বাংলায় কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়াতে হবে। বিজেপি যদি বিহারে জিততে না পারে তাহলে বাংলায় জেতার আশা ক্ষীণ হয়ে যাবে।
বিহার নির্বাচনে বিজেপির নতুন সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডারও সাংগঠনিক পরীক্ষা। অমিত শাহ বিজেপির সাংগঠনিক রীতি মেনে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে অমিত শাহ দলের সাংগঠনিক দ্বায়িত্ব ভার তুলে দেন জেপি নাড্ডার হাতে। ফলে জেপি নাড্ডা বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো রাজনৈতিক দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতির দ্বায়িত্ব সামলাতে কতটা পরিণত হয়েছে তা বোঝা যাবে।
উল্টোদিকে বিজেপি বিরোধী দলগুলো ভোটারদের আস্থা ভরসা কতটা অর্জন করতে পেরেছে সেটাও বোঝা যাবে বিহার নির্বাচনের ফলাফলে। বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দল, কংগ্রেস ও বামেদের জোট সফল বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বাম কংগ্রেস জোট বাড়তি অক্সিজেন পাবে।
সব মিলিয়ে বিহার নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এবং বিজেপি বিরোধী জোট উভয়ের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
No comments:
Post a Comment