নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: মহালয়ার মাধ্যমে দেবী পক্ষের সূচনা হয়ে গিয়েছে । নদীর ধারে কাশবনের মেলা জানান দিচ্ছে শরৎ এসে গেছে। কিন্তু অন্যান্য বছরের ন্যায় এবছর কোন ব্যস্ততাই নেই পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে। পুজোর বাকি আর কদিন প্রতিবছর এই সময় পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন পাড়ার মোড়ে এবং বিভিন্ন ক্লাবে চরম ব্যস্ততার দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। কে কাকে টেক্কা দেবে, কার পুজো সেরা পুজো হবে, এই নিয়ে প্রতিটি ক্লাবের মধ্যে শুরু হয়ে যায় প্রতিযোগিতা। কেউ বা থিম, কেউ বা সাবেকি, কেউ বা আলোকসজ্জা কেউ বা নিত্য নতুন কিছু করার চেষ্টা করে পুজোতে।
অন্যান্য বছর এই সময় ক্লাব উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে, মণ্ডপ শিল্পী সবাই চরম ব্যস্ততায় থাকেন কিন্তু এবছর করোনা আবহে সব যেন ওলোট-পালট হয়ে গিয়েছে, করোনা আমাদের বাংলার চিরাচরিত চিত্রটাই পালটে দিয়েছে । আলিপুরদুয়ার জেলার কোথাও কোনো পুজো কমিটির মধ্যে পুজো নিয়ে ব্যস্ততা নেই এমনকি এখনও শুরু হয়নি প্রস্তুতি। আর এর ফলে ছোটোদের মুখ ভার, তাদের মনে একটা প্রশ্ন পুজো হবে তো? যদিও পুজো উদ্যোক্তারা জানান পুজো তো হবে কিন্ত প্রতিবছরের মত জাঁকজমক ভাবে হবেনা ।
হ্যামিলন্টনগঞ্জ এলাকার এক পুজো উদ্যোক্তা জানান, এর মধ্যে পুজো নিয়ে ক্লাবে মিটিং করেছি, এবছর পুজো বাজেট কম । মায়ের পুজো করবো কিন্ত খুব ছোটো করে । এক ক্লাব কর্তা জানান, প্রতিবছর এই সময় আমরা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ি, পুজো নিয়ে সবাই পুজো নিয়ে ব্যস্ত থাকি, তবে এবছর এখনও মিটিং হয়নি, পুজো তো হবে কিন্তু প্রথবারের মত জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে হবেনা ।
No comments:
Post a Comment