ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা হ্রাস করার মহড়া অব্যাহত রয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় মোলডোতে উভয় দেশের সামরিক কমান্ডার স্তরের বৈঠক শুরু হয়েছে। এটি দু'দেশের মধ্যে কমান্ডার পর্যায়ের ষষ্ঠ বৈঠক, যা গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। ভারত থেকে প্রথমবারের মতো এই বৈঠকে একজন প্রবীণ কূটনীতিকও উপস্থিত আছেন। ভারত সর্বদা শান্তি ও সংলাপের মাধ্যমে এই বিরোধ সমাধানের পক্ষে কথা বলেছে। এমন পরিস্থিতিতে আলোচনার টেবিলে ভারত কোনও সমাধান সন্ধানের চেষ্টা করবে। এর সাথে চীনকেও তাদের ভাষায় উত্তর দিতে হবে।
২৯-৩১ আগস্টের ঘটনা এবং ৭ ও ৯ সেপ্টেম্বর গুলি চালানোর ঘটনাগুলির পরে, সীমান্তে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক দুটি দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৯-৩১ আগস্টের মধ্যে ভারত দক্ষিণে প্যাংগং লেকের বেশ কয়েকটি পাহাড়ে সেনা মোতায়েন করেছিল। চীনা সেনাবাহিনী ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল, যা ভারতীয় সেনারা ব্যর্থ হয়েছিল। একই সময়ে, ৭ থেকে ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে, চীনা সৈন্যরা প্যাংগং লেকের এলাকায় গুলি চালাচ্ছিল।
এর আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি রাশিয়ায় বৈঠক করেছেন। দুই নেতা পাঁচ দফা সূত্রে একমত হয়েছেন।
এই পাঁচ দফা সূত্র কি ?
প্রথম - মতবিরোধকে বিবাদে পরিণত না হতে দেওয়া।
দ্বিতীয় - উভয় দেশের সেনাবাহিনী পিছু হটবে এবং যুক্তিসঙ্গত দূরত্বে অবস্থান করবে।
তৃতীয় - দুই দেশের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
চতুর্থ - চুক্তি এবং প্রোটোকলকে উভয় দেশ মেনে চলবে।
পঞ্চম - চাপ বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না।
সামরিক কমান্ডার-স্তরের আলোচনাও গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর আগে, ৩১ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার র্যাঙ্ক স্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে অর্ধ-ডজনেরও বেশি আলোচনা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। একই সময়ে, ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পরে প্রথমবারের মতো পূর্ব লাদাখ এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনাগুলির পরে এই প্রথমবার হবে, যখন উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনার টেবিলে মুখোমুখি হবেন।
No comments:
Post a Comment