আজকের বর্তমান যুগে দেশে পাশাপাশি বিদেশেও চিনির মাত্রার ব্যবহার অনেকাংশে বেড়েছে। ডেজার্ট, কেক এবং মিষ্টি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয়। যে কোনও বিশেষ উপলক্ষে, আমরা উদযাপনের জন্য সবচেয়ে বেশি মিষ্টি ব্যবহার করি। এর অবিরাম ব্যবহারের কারণে শরীরে চিনির মাত্রা বাড়ানো খুব ক্ষতিকারক বলে প্রমাণিত হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে সময়ের সাথে সাথে চিনির অবিচ্ছিন্ন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ক্রমাগত পরিমাণে চিনি মানুষের দেহকে ক্রমশ দুর্বল করে তুলতে পারে। এটির পাশাপাশি এটি অনেকগুলি রোগকেও আমন্ত্রণ জানাতে পারে, যা আগামী সময়ে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে।
দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা
মানব দেহে চিনির ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের কারণে প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রচুর দুর্বল হতে পারে। এই কারণে, মানবদেহ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাতে পারে। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে আবহাওয়া স্বাভাবিক থেকে পরিবর্তনের কারণে সর্দি-ঠান্ডা হওয়া সাধারণ।
ত্বকের শুষ্কতা
রক্তে শর্করার লেবেল নিয়ন্ত্রণ করতে শর্করা শরীরে ব্যবহৃত হয়। এটি শরীরে পৌঁছানোর সাথে সাথেই শরীরে ইনসুলিনের সংবেদন বৃদ্ধি পায় যা ত্বকের লালচেভাব বাড়ায়। অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার করলে শরীরে ব্রণর সমস্যা বাড়তে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি ব্যবহারে ত্বকের অ্যালার্জি এবং একজিমার সমস্যা বাড়ে।
হৃদরোগ
চিনির অতিরিক্ত পরিমাণে ডায়াবেটিস, স্থূলত্ব এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। যার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। ইনসুলিনের অভাবের কারণে, রক্তে কর্নারি এথেরোস্ক্লেরোসিসের উপস্থিত চিনি হৃৎপিণ্ডের পেশীতে অক্সিজেনের অভাবের দিকে পরিচালিত করে। যার কারণে হার্ট অ্যাটাক স্বাভাবিক হয়ে যায়।
ওজন বৃদ্ধি
চিনি ব্যবহারের কারণে শরীরের দেহের মেদ অনেকাংশে বেড়ে যায়। যার কারণে স্থূলত্বের সমস্যাটি সাধারণ। চিনিতে কোনও ধরণের ভিটামিন এবং প্রোটিন না থাকার কারণে এটি কেবল শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। যার কারণে শরীর খুব দ্রুত হয়ে যায়। এড়াতে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ব্যবহার সবচেয়ে উপকারী।
No comments:
Post a Comment