চরম বিপদে বৃদ্ধ দম্পতি, চাইছেন সরকারি সাহায্য - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 10 August 2020

চরম বিপদে বৃদ্ধ দম্পতি, চাইছেন সরকারি সাহায্য


নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরএকেই বোধ হয় বলে বিপদ যখন আসে তখন সব দিক থেকেই আসে। মায়ের শরীর খারাপ শুনে ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশে, অন্তত দিদিমাকে দেখে আসুক ছেলে। ছেলে শ্যামল পাল লকডাউনে বাংলাদেশেই আটকে পড়েছেন৷ এদিকে ভারতবর্ষের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরে শ্যামলের বৃদ্ধ বাবা শিরীশ চন্দ্র পাল এবং মা জ্যোৎস্না রানী পাল দুজনেই কিডনির সমস্যায় জর্জরিত। চিকিৎসা করানো ও দেখভালের লোকের অভাব। তাই কার্যত বাধ্য হয়েই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের গোয়ালপাড়ায় মেয়ের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। প্রশাসনিক সাহায্য চাইতে দক্ষিণ দিনাজপুর যেতেও সমর্থ্য নয় রোগাক্রান্ত ওই দম্পতি। এখন শুধুই দিশেহারা হয়ে হাহাকার করে ছেলেকে দেশে ফেরানোর জন্য বিলাপ করছেন তারা। অভিভাবকহীন অবস্থায় দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে বসত বাড়ীটাও পরে আছে। সব মিলিয়ে চরম দিশাহীন বিপদে পড়েছেন ওই রোগাক্রান্ত দম্পতি। 

বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার আত্রেয়ী থানার মির্জাপুরে আটকে পড়া শ্যামল পড়েছেন চরম বিপদে৷ ভারতের হাই কমিশন অফিসে যোগাযোগ করলে জানাচ্ছে এখনও হিলি বর্ডার খোলেনি। ভিডিও কলে বাবা মাকে দেখছেন আর শুধুই খবর নিচ্ছেন ছেলে শ্যামল পাল। 

এখন তাদের একটাই আর্জি আটকে পড়া দেশের ছেলে দেশে ফেরাক সরকার৷ 

একটি ছোট্টো দশকর্মার দোকান চালিয়ে সংসার চালানো রায়গঞ্জ গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা শ্যামলের জামাই বাবু স্বপন চাকী পড়েছেন সমস্যায়৷ শ্যালক শ্যামল মার্চ মাসের ১ তারিখ বাংলাদেশে গিয়ে আটকে পড়েছেন। প্রায় ৪ মাস ধরে রোগাক্রান্ত শ্বশুর শ্বাশুড়ি জামাইয়ের বাড়ীতেই আছেন। লকডাউনে সংসার টানতেই হিমসিম খাচ্ছিলেন। বিপদগ্রস্ত শ্বশুর শ্বাশুড়িকেও না দেখে উপায় নেই৷ নাজেহাল অবস্থা তারও।  

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad