ওই ঠিকাদারের নাম জয়ন্ত প্রামানিক। মালদার চাঁচলের প্যান্ডেল পাড়ার বাসিন্দা। তিনি বলেন, 'পূর্ত দপ্তরে তিনি প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা মতন কাজ করেছেন ও ২০১৯ সালের মহকুমা শাসকের বাংলো সংস্কার সহ নির্বাচনের বেশ কিছু কাজ করেছেন। সব মিলিয়ে তার প্রায় এক কোটি টাকা সরকারের কাছে পাওনা রয়েছে। কিন্তু বারবার দাবী করেও রহস্যজনক কারণে সরকার তার টাকা মেটাচ্ছে না। সমস্ত কাজের ইনস্পেকশন হয়ে গেছে তাও তিনি তার পাওনা টাকা পাচ্ছেন না। মানুষের কাছ থেকে সুদের টাকা নিয়ে তিনি এই কাজ করেছিলেন ফলে পাওনাদাররা প্রতিদিনই তার বাড়ীতে চড়াও হচ্ছে। ফলে তিনি দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে গেছেন। এই কারণেই পাওনা টাকা দাবী করছেন। মহকুমা শাসকের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তার ব্যক্তিগত গাড়িটিকে মহকুমা শাসক আটক করে নিয়েছেন বলে ওই ঠিকাদারের অভিযোগ। হয় তার টাকা মেটানো হোক না হলে তাকে ইচ্ছামৃত্যুর নির্দেশ দেওয়া হোক এমনই তিনি আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে।
সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই ঠিকাদারের স্ত্রী দেবযানী প্রামানিক।
বিজেপির মালদা জেলার সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'এই সরকারের আমলে কাটমানি না দিলে টাকা পাওয়া খুবই মুশকিল। সরকারের উচিৎ ঠিকাদারের পাওনা টাকা মিটিয়ে দেওয়া।
তৃণমূলের মালদা জেলার মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, 'কোন হয়তো কাগজপত্র সংক্রান্ত সমস্যা হচ্ছে, ওই ঠিকাদার সঠিকভাবে তার টাকা পেয়ে যাবেন।'
চাঁচলের মহকুমা শাসক সব্যসাচী রায় গাড়ি আটক করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সরকার থেকে টাকা আসলে সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে তার হাতে কিছুই নেই।
No comments:
Post a Comment