গান্ধী পরিবারের বাইরের কোনও ব্যক্তির কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মন্তব্য

 

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তার বড় ভাই এবং প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে সমর্থন করেছেন, যেখানে রাহুল গত বছর সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার পরে নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরের ব্যক্তিকে পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি করার আবেদন করেছিলেন।  নতুন বই 'ইন্ডিয়া টুমরো'-তে এই দাবিটি করা হয়েছে।

এই বইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছিলেন, "রাহুল গান্ধী বলেছিলেন যে আমাদের কারোরই দলের সভাপতি হওয়া উচিৎ নয় এবং আমি এর সাথে পুরোপুরি একমত। আমি মনে করি যে দলের তার পথ খুঁজে নেওয়া উচিৎ।" প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেছিলেন যে নেহেরু গান্ধী পরিবারের বাইরের সভাপতির সঙ্গে কাজ করতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই।

লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের অপমানজনক পরাজয়ের পরে রাহুল গান্ধী দলীয় সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। গত বছরের ১০ আগস্ট কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল বলেছিলেন যে পরবর্তী সভাপতি তাঁর পরিবারের বাইরে অর্থাৎ গান্ধী-নেহেরু পরিবারের বাইরের কোনো ব্যক্তিকে করা উচিৎ। তবে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি রাহুলের পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করে এবং প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর হাতে লাগাম চাপিয়ে তাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করে তুলেছে।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বক্তব্যের পরে আবারও প্রশ্ন উঠেছে যে পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি কী গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ হবেন? তবে, গত এক বছরে কংগ্রেস নেতারা রাহুল গান্ধীকে আবারও দলীয় সভাপতি করার দাবি করেছেন। তবে রাহুল গান্ধীর পক্ষ থেকে ফিরে আসার বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়নি।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই রাজনীতিযে আসা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর একটি কথা, একটি নতুন বই 'ইন্ডিয়া টুমরো' উল্লেখ করা হয়েছে যা ভবিষ্যতের নেতাদের এবং তাদের চিন্তাভাবনা নিয়ে আলোচনা করে। এই সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাহুল গান্ধীকে নিজের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান বলেছেন এবং তাঁকে তাঁর সেরা বন্ধুও বলেছেন।

একই বইতে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার আগ পর্যন্ত পরবর্তী ৭ বছর অর্থাৎ ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধীর হত্যা পর্যন্ত ভয়ের পরিবেশে থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, "ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর, পরবর্তী ৭ বছর, তিনি তার পিতাকে হত্যার ভয় পেয়েছিলেন।"  প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন যে তার বাবা বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত তিনি রাতে ঘুমোতেননা। এমনকি যখনই রাজীব গান্ধী সফরে বাইরে যেতেন, তিনি ভাবতেন যে তিনি আর ফিরে আসবেন না।

এর সাথে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও স্বীকার করেছেন যে ইউপিএ সরকারের সময় কংগ্রেসের মিডিয়া কৌশল তৈরি করা দল যতক্ষনে সচেতন হয়েছিল, ততক্ষনে সাধারণ মানুষ বিজেপির অভিযোগের ওপর বিশ্বাস করে নিয়েছিল।