জেলা সভাপতির আরও অভিযোগ, 'গতকাল গঙ্গারামপুরের তাদের দলের কর্মী সনাতন কর্মকার সেখানের পার্টি অফিসে তার দলবল নিয়ে চড়াও হয়। এমনকি তিনি তার দলবল নিয়ে একই কায়দায় বালুরঘাটে এসে জেলার প্রধান কার্যালয়েও চড়াও হয়েছিলেন। সেসময় অফিসে তেমন কোন কাজ না থাকায় আমরা কেউ ছিলাম না। কিন্তু তিনি কাউকে কিছু না বলে এভাবে দুই অফিসে চড়াও হওয়ার ব্যাপারটি দল ভাল ভাবে নেয় নি। তাই রাজ্য কমিটির নির্দেশে তাকে সরিয়ে দেওয়া হল।' পাশাপাশি গৌতম গোস্বামীকে এর আগের দলের সভাপতি দল বিরোধী কাজের জন্য শোকজ করেছিলেন। তার দেওয়া শোকজের জবাবে দল সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাকেও আজ দলের যাবতীয় কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হল বলে তিনি জানান।
এদিকে এই ঘটনায় দুই বিজেপি নেতাই তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের অভিযোগ, দলের ভেতর এখন পুরোনো কর্মীদের কোনঠাসা করে রাখার চেষ্টা চলছে, যা এলাকার দলের কর্মীরা মেনে নিতে পারছে না। তাই তারাই জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখাচ্ছে। এর সাথে তাদের কোন যোগাযোগ নেই।
অপরদিকে জেলা বিজেপিতে প্রাক্তন জেলা সভাপতির খোলামেলা হাওয়া নতুন সভাপতির আমলে নেই বলে জেলা বিজেপি দলের অনেক সদস্যই আক্ষেপের সঙ্গে জানিয়েছে। ফলে দলের ভেতর ক্রমশই গোষ্টী দ্বন্দ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, যা আগামী বিধানসভা ভোটে দলকে বেশ ভালই বেগ দিতে পারে বলেই তারা মনে করছে।
No comments:
Post a Comment