করোনাভাইরাসের মহামারীর যুগে বেশিরভাগ মানুষ মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং নার্ভাসনেসের মতো সমস্যায় ভুগছেন। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন যে এই মহামারীর কারণে মানুষের মধ্যে মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ বেড়েছে। বেশিরভাগ লোকেরা উদ্বিগ্ন ও হতাশাগ্রস্থ হতে শুরু করেছেন। এমনকি তারা এর কারণও জানতে পারেন না। অনেক লোক ঠিক মতো ঘুমাতে পারে না, তাই কেউ কেউ সর্বদা বিভিন্ন ধরণের আশঙ্কায় থাকেন। সব বয়সের লোকেরা একরকম মানসিক সমস্যা নিয়ে লড়াই করে চলেছেন। যারা আগে থেকেই স্ট্রেস বা হতাশার মতো সমস্যায় ভুগছেন তাদের সমস্যা আরও বেড়েছে। কিছু সাধারণ পদ্ধতি অবলম্বন করে এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
১. নিজেকে ব্যস্ত রাখুন
খালি বসে মনে মনে বিভিন্ন ধরণের উদ্বেগও জাগে। করোনা মহামারীর কারণে বেশিরভাগ মানুষ এখন বাড়ীতেই নিজেদের সময় কাটান। এক্ষেত্রে তাদের অন্যান্য লোকেদের সাথে মেলামেশা টাও প্রায় না এর মতোই। এটি সমস্যার কারণ হতে বাধ্য। এমন পরিস্থিতিতে কাউকে কিছু কাজে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করা উচিৎ। আপনার পছন্দ মতো যে কোনও কাজ আপনি করতে পারেন। আপনি যখন ব্যস্ত থাকবেন তখন আপনি অযথা কোনও বিষয়ে চিন্তা করবেন না।
২. আপনি নার্ভাস থাকাকালীন দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিন
যখনই আপনি অস্থির এবং নার্ভাস বোধ করেন, তখন শান্ত স্থানে বসুন। তারপরে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। কিছুক্ষণ এই কাজ করার পরে মন শান্ত হতে শুরু করবে। এতে আপনি মানসিক শান্তি পাবেন এবং আপনার আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।
৩.কোনও মন্ত্র বা প্রার্থনা পাঠ করুন
এই পদ্ধতিটি মনের শান্তির জন্য খুব কার্যকরি ধরা হয় । আপনি যখন অস্থির এবং নার্ভাস বোধ করেন তখন যে কোনও মন্ত্র প্রার্থনা করুন। এটি নিয়মিত করুন। এটি কেবল শান্তি আনবে না, আপনার আত্মবিশ্বাসকেও বাড়িয়ে তুলবে।
৪.কোলাহল থেকে দূরে থাকুন
যেসব ব্যক্তিরা কোনও মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, তাদের শান্ত পরিবেশ প্রয়োজন। তাই কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ থেকে দূরে থাকুন। এমন পরিবেশে আতঙ্ক বেড়ে যায়। শান্ত জায়গায় থাকুন। প্রিয় বই বা ম্যাগাজিন পড়ুন। আপনি যদি টিভিতে কোনও প্রোগ্রাম পছন্দ করেন তবে সেটিও দেখতে পারেন।গান শুনলে মানসিক প্রশান্তিও আসে। আপনি যদি গান শুনতে পছন্দ করেন তবে অবশ্যই গানে সময় দিন ।
৫. সম্পূর্ণ ঘুম নিন
যদি ঘুম সম্পূর্ণ করতে না পারা যায় তবে তা অস্থিরতা ও নার্ভাসনেস নিয়ে আসে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য কমপক্ষে ৬-৭ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। সময় মতো ঘুমাতে যান, বিছানা পরিষ্কার রাখুন। শোওয়ার ঘরটি গুছিয়ে রাখুন। শোওয়ার ২ঘন্টা আগে মোবাইল ফোন থেকে একটি দূরত্ব তৈরি করুন। এটি আপনাকে সঠিকভাবে ঘুমাতে সহায়তা করবে। ঘুমোতে যাওয়া এবং ওঠার জন্য সময় নির্ধারণ করুন। এগুলি ছাড়াও নিয়মিত অনুশীলন এবং যোগব্যায়াম করুন।
No comments:
Post a Comment