করোনা ভাইরাস দৈহিক ক্ষতির সাথে সাথে করছে মানসিক ক্ষতিও,সুস্থ হওয়ার পরেও থাকতে পারে এর লক্ষণ

করোনার ভাইরাস সংক্রমণ এখন পুরো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে এবং এখনও সঠিক কোনও চিকিৎসা খুঁজে পাওয়া যায়নি বা কোনও টিকাও পাওয়া যায়নি। এদিকে, করোনার ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে গবেষণা চলছে। কোভিড -১৯-এ আক্রান্ত রোগীরা নির্দিষ্ট ধরণের স্নায়বিক ব্যাধিতে ভুগছেন। সংক্রামিত রোগীরা কোনও বিষয় সম্পর্কে সঠিকভাবে চিন্তা করতে অক্ষম এবং জ্বালাও বোধ করছেন।খবর নবভারত টাইমস অনলাইনের।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এখন এই সম্ভাবনা প্রকাশ পেয়েছে যে এই স্নায়বিক অসুস্থতাগুলি বিভিন্নভাবে যেকোন ব্যক্তির মস্তিষ্কে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। আসুন আপনাকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বলি।

গবেষণায় এই দাবি করা হয়েছিল

লন্ডনের মেডিকেল কলেজ এবং লন্ডন হাসপাতালের মেডিকেল কলেজের যৌথ গবেষণায় কিছুদিন আগে এ নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে করোনার ভাইরাসে সংক্রামিত অনেক রোগী তাদের মস্তিস্কে ফোলাভাব দেখতে পাচ্ছেন। লন্ডনের বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রদাহ বিরল। এই প্রদাহের  তীব্রভাবে ছড়িয়ে পড়াকে এনসেফালমিলাইটিস (এডিইএম) বলা হয়।

গবেষণা আরও বলেছে যে সংক্রামিত ব্যক্তি আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন নয়। এর বাইরেও রোগীর আচরণে বিরক্তি দেখা যায়। এটি উদ্বেগের বিষয় যে করোনার ভাইরাস রোগীর মন এবং আচরণের উপর এমন প্রভাব ফেলে চলেছে।

বিশ্বের বিজ্ঞানীরা কী বলেন? 

ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনের নিউরোলজি বিভাগের মাইকেল জেন্ডি বলেছেন যে, মহামারীটি যখন বিশ্বজুড়ে বিশাল আকারে ছড়িয়ে পড়ে তখন এটি মানুষের মনকেও প্রভাবিত করে। ১৯২০ এবং ১৯৩০ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জা ফ্লু ছড়িয়ে যাওয়ার সময় একই রকম প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।

কানাডার ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির নিউরোলজিস্ট অ্যাড্রিয়েন ওউনের মতে, সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হ'ল করোনার ভাইরাসে বর্তমানে সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ভুগছে। এই সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে। ওভেন বলেছেন যে মানুষ যদি এই রোগ থেকে নিরাময় হয় তবে তাদের  অনেককে মস্তিষ্ক সম্পর্কিত অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হতে পারে।

বর্তমানে, এই ধরনের গবেষণা  ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকদের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সতর্ক করেছে যাতে এই চিকিৎসা ব্যাবস্থা সময়মতো পাওয়া যায়। করোনার ভাইরাস কীভাবে মস্তিষ্কের অংশকে প্রভাবিত করে তা অনুসন্ধান করার জন্য গবেষণা দলটিও এই এলাকায় আরও কাজ করছে।