চোখের মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মার্কিন ভাইরোলজিস্ট জোসেফ - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 15 May 2020

চোখের মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মার্কিন ভাইরোলজিস্ট জোসেফ






মহামারী করোনা ভাইরাস হাত ও মুখের মাধ্যমে মানুষের শরীরকে আক্রান্ত করে। তবে চোখের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ হয় বলে জানিয়েছেন মার্কিন ভাইরোলজিস্ট জোসেফ ফাইর। কারণ তিনি নিজেই চোখের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। নিজের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করে আসছিলেন জোসেফ ফাইর। শারীরিক অবস্থাও বেশ ভালোই ছিল তার।


তবে সম্প্রতি বিমানে করে নিউ অরলিন্সে নিজ বাড়ীতে ফেরার তিনদিন পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। সাধারণত মুখ ও নাকের মাধ্যমে করোনা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে বলে মনে করা হলেও জোসেফ ফাইরের সন্দেহ, তার শরীরে করোনা সংক্রমিত হয়েছে চোখের মাধ্যমে। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের টুডে অনুষ্ঠানে এমন আশঙ্কা জানিয়েছেন এ ভাইরোলজিস্ট।

৪২ বছর বয়সী জোসেফ ফাইর বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি জানান, সম্প্রতি যে ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন সেটিতে অনেক বেশি যাত্রী ছিল। করোনা প্রতিরোধী সব ব্যবস্থা অবলম্বন করেছিলেন উল্লেখ করে ফাইর বলেন, আমি মাস্ক পরা ছিলাম, হাতে গ্লাভস ছিল, নিয়মিত হাতও ধুয়েছি। তবে অবশ্যই চোখের মাধ্যমে এটা ছড়াতে পারে। আমি ওই ফ্লাইটে গগলস পরা ছিলাম না।

ফাইর আরও বলেন, সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাব্য পথগুলোর একটি এটি (চোখ)। অথচ আমরা এ ব্যাপারে বেশি নজর দিচ্ছি না। নাক ও মুখ নিয়েই বেশি সচেতন আমরা। কারণ এ দুই পথেই সাধারণত বেশিরভাগ মানুষ সংক্রমিত হয়ে থাকে।

ফাইর জানান, বাড়ীতে পৌঁছানোর পর তিনি আর কোথাও যাননি। আর সে কারণে চোখ থেকে সংক্রমণের আশঙ্কাটা অনেক বেশি জোরালো হয়ে উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)-এর তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে সাধারণত ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়ায় করোনাভাইরাস। আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে তার আশপাশের মানুষের মুখ ও নাকের মাধ্যমে ভাইরাসটি তাদের শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করে। অন্য উপায়ে করোনাভাইরাস এতটা সহজে সংক্রমিত হতে পারে না। তবে ভাইরাসটি কোনও বস্তুর মধ্যে থাকলে এবং কেউ যদি সে বস্তুটিকে স্পর্শ করার পর মুখ, নাক ও এমনকি চোখ স্পর্শ করে তবে এর মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে।

ফাইর বলেন, আমি মনে করি এখনও অনেক কিছুই আমাদের অজানা। শুরুর দিকে তার জ্বর জ্বর ভাব ও ক্ষুধামন্দা ছিল। বাড়ীতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। তবে হঠাৎ করে দেখলেন ২৫ শতাংশের বেশি অক্সিজেন নিতে পারছেন না। আর তখনই অ্যাম্বুলেন্স ডেকে হাসপাতালে ভর্তি হন। বুধবার (১৩ মে) রাতে চিকিৎসকরা জানান, তার অবস্থা সংকটমুক্ত।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad