বলিউডের ড্যান্স ক্যুইন মাধুরী দীক্ষিতের শুভ জন্মদিন; কতগুলি বসন্ত পার করলেন অভিনেত্রী! - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 15 May 2020

বলিউডের ড্যান্স ক্যুইন মাধুরী দীক্ষিতের শুভ জন্মদিন; কতগুলি বসন্ত পার করলেন অভিনেত্রী!





বলিউডের এই ডান্স কুইনের জন্য বয়স শুধুই একটি সংখ্যা। বয়স বাড়ছে না কমছে সেটা বলিউড ডিভা মাধুরী দীক্ষিতের হাসি দেখে বোঝা যায় না। আর নিজেও বললেন, বয়সটা কেবলই তার কাছে সংখ্যার একটা হিসবে মাত্র। এ নিয়ে তিনি চিন্তিত নন।

যাই হোক, আজ ১৫ মে, শুক্রবার মাধুরীর শুভ জন্মদিন। এবারে তিনি পা রাখলেন ৫৩ বছরে। প্রতি বছর জমকালো আয়োজনে পালিত হলেও এবার করোনার কারণে ঘরেই কাটবে এই সুপারস্টারের জন্মদিন।

১৯৬৭ সালের ১৫ মে মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেন মাধুরী দীক্ষিত। বাবা শংকর দীক্ষিত ও মা সঞ্চলতা। এক ভাই ও তিন বোনের মধ্যে মাধুরী ছিলেন সবার ছোট। ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করার খাতিরে বেশ ধার্মিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন তিনি।

মুম্বাইয়ের মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা মাধুরীর ছোটবেলা কেটেছে মুম্বাইতেই। তার স্কুল ছিল ডিভাইন চাইল্ড হাইস্কুল। পরবর্তীতে মুম্বাই ইউনিভার্সিটিতে মাইক্রোবায়োলজি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। মাধুরী সবসময়ই ভালো ছাত্রী ছিলেন। তবে তিনি পড়ার ব্যাপারে ছিলেন বেশ ফাঁকিবাজ।

তিনি কথ্যক নাচ শিখতেন ছোটবেলা থেকেই। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অনেক পুরস্কারও জিতে নিয়েছিলেন। নাচের জন্য তিনি স্কুলের শিক্ষক ও হেডমাস্টারদের কাছে খুব প্রিয় ছিলেন। এমনকি তিনি নাচের জন্য জাতীয় বৃত্তিও পেয়েছেন। কিন্তু পড়াশোনায় মন দিতে গিয়ে নাচের বৃত্তি কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। মাত্র ১৮ বছর বয়স থেকে সিনেমায় পথচলা।

‘অবোধ’ ছবিতে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু কাঙিক্ষত সাফল্য পান ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ সিনেমায় অভিনয় করে। পরে ‘রাম-লক্ষ্মণ, ‘দিল’, ‘সাজন’, ‘বেটা’, ‘খলনায়ক’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘দেবদাসের’ মতো ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি।

কখনও তিনি হাসিতে দর্শক মাতিয়েছেন, কখনও দর্শকের মন মাতিয়েছেন নাচের তালে। দীর্ঘ তিন দশক ধরেই তিনি মুগ্ধ করে রেখেছেন উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের। চলচ্চিত্র নিয়ে এক অনুষ্ঠানে বলিউডের রোমান্স কিং শাহরুখ খান মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘তোমরা অনেক সুন্দরী হতে পারবে, কিন্তু কখনই মাধুরী হতে যেও না। কারণ ওটা হওয়া যায় না। ওর মতো সৌন্দর্য ঈশ্বরের আশীর্বাদ।’

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একাধিকবার তিনি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন। পাশাপাশি হিন্দী চলচ্চিত্রে অনবদ্য ভূমিকার জন্য ২০০৮ সালে ভারত সরকারের ৪র্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসেবে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বর্তমানে মাধুরী অভিনয়ে খুব একটা নিয়মিত নন। সর্বশেষ ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল তার অভিনীত ‘গুলাব গ্যাং’ ছবিটি। তার মুক্তিপ্রত্যাশী ছবির তালিকায় আছে বাকেট লিস্ট, টোটাল ধামাল আর কলঙ্ক।

এছাড়া বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে নাচের অনুষ্ঠানের বিচারক হিসেবেও দেখা মিলে তার। মাঝেমধ্যে অবশ্য হাজির হয়ে যান চলচ্চিত্রের নানা অনুষ্ঠানেও। ১৯৯৯ সালে মাধুরী ডেনেভার, কলোরাডোতে কর্মরত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালযয়ের কার্ডিওভাসকুলার সার্জন মাধব নেনেকে বিয়ে করেন। ডা. নেনে মারাঠী ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান। সেই সংসারে মাধুরী আরিন ও রায়ান নামে দুই পুত্রের জননী।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad