লকডাউন থাকা অবস্থায় নাইজেরিয়ায় ঘরোয়া ও যৗন সহিংসতা বেড়ে চলছে। যে কারণে নির্যাতিতের সহায়তা চেয়ে আবেদনও বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ঘরোয়া ও যৌন সহিংসতা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ।
করোনা ভাইরাসে লকডাউনের কারণে ঘরে ঘরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বেড়ে যাবে বলে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ। নাইজেরিয়ার লকডাউনে ঘরোয়া ও যৌন সহিংসতা যেন তারই একটি ফলিত রূপ।
দেশটির লাগোস রাজ্যের ডোমেস্টিক এন্ড সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স রেসপন্স টিম বলছে, এ সম্পর্কিত তাদের হট লাইনে কলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়, সেটি সামাল দিতে অতিরিক্ত লোক (হ্যান্ডেলার) নিতে হয়েছে।
টিমটির সমন্বায়ক তিতিললা ভিভোর আদেনিয়ী জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীরা পালানোর রাস্তা খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ এই সময় বুঝতেও পারছে না যে তাদের পার্টনারেরা তাদের সঙ্গে কি আচরণ করবে।
তিনি বলেন, ঘরোয়া ও যৌন সহিংসতা নিয়ে আইন প্রয়োগের ব্যস্ত সময় যাচ্ছে আমাদের। অনেক সময় বাড়ীর আপত্তিজনক পরিবেশ থেকে ভুক্তভোগীদের সরিয়ে নিতে হয়েছে। কিছু কিছু সময় অভিযুক্তদের বাড়ী থেকে সরিয়ে দিতেও সফল হয়েছি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ঠিক কত সংখ্যক মানুষ এ সময় নির্যাতিত বা সহিংসতার শিকার হচ্ছে তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন। কারণ নির্যাতিতদের অনেকেই সহিংসতার কথা জানালেও আবার অনেকেই এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।
No comments:
Post a Comment