লকডাউনে দেশে বাড়ছে পরকীয়া! রইল মুক্তি পেতে কিছু উপায়

করোনা ভাইরাসে অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ব। লকডাউন করা হয়েছে অনেক দেশ। করোনা সতর্কতায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে লোকজন। অনেক অফিসের কার্জক্রম পরিচালিত হচ্ছে বাড়ী থেকে। প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে একটি সুখবরের আশায়, কখন স্বাভাবিক হবে জীবনযাত্রা? এ দেশও এর ব্যতিক্রম নয়।  একের পর এক লকডাউন করে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্য। এ অবস্থায় সময় কাটাতে ইন্টারনেট নির্ভরতা বাড়ছে নাগরিকদের। মনে হচ্ছে কিছু মানুষ তাদের ভালোবাসার জীবনকে উপভোগ করতে ইন্টারনেটে বেশি সময় দিচ্ছে। পরিস্থিতির সুবিধা নিয়ে অনেকে অনলাইন ডেটিং প্লাটফর্ম এবং বিবাহ-বহির্ভূত ডেটিং অ্যাপস নামিয়ে মধুর সম্পর্ক করছে! বাড়ছে পরকীয়া! বিবাহ-বহির্ভূত ডেটিং অ্যাপ ‘গ্লিডেন’ এক বিবৃতিতে জানায়, সম্প্রতি তাদের গ্রাহক সংখ্যা ৭০ শতাংশ বেড়ে গেছে। কারণ হিসেবে তারা জানায়, লোকজন এখন বাড়ীতে থাকছে এবং যোগাযোগসহ সবকিছুর জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।

লকডাউনের এ সময়ে লোকজনের বিরক্ত হওয়া খুব অস্বাভাবিক না। এক্ষেত্রে তারা অনলাইনে সম্পর্ক বা বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপন না করে প্রিয়জনের সাথে অর্থপূর্ণ সময় কাটাতে পারে। লকডাউনের সময় প্রিয়জনের সাথে কাটানো সময় অর্থপূর্ণ করার কিছু কৌশল তুলে ধরা হল-

একসাথে কাজ করুন
সঙ্গীকে নিয়ে একসাথে কাজ করে সামাজিক দূরত্ব এবং অনির্দিষ্ট সময় বাড়ীতে কাটানোর পুরোপরি সুবিধা নিন। এটি হতে পারে রান্নার মতো কোন কাজ বা নতুন কোন সখ তৈরি করুন একসাথে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্পর্ক মজবুত এবং স্বাস্থ্যকর করার সবচেয়ে বড় ওষুধ হল একসাথে সময় কাটানো।

যোগাযোগ দক্ষতা নিয়ে কাজ করুন
যোগাযোগ হল সফল সম্পর্কের চাবিকাঠি। সুতরাং লকডাউনের এই সময়ে যোগাযোগ দক্ষতা নিয়ে কাজ করা হল বুদ্ধিমানের কাজ। সঙ্গীর সাথে অর্থপূর্ণ আলোচনা করান এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলুন, যা সময়ের অভাবে অন্য সময় করা হয় না।

সিনেমা দেখুন বা বই পড়ুন
সঙ্গীর সাথে যদি সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে চান তাহলে তাই করুন যা আপনাদের কাছে নিয়ে আসে। এক্ষেত্রে সিনেমা বা কোন সিরিজ দেখতে পারেন। বইপ্রেমী যুগল হলে একে অপরের প্রিয় বই পড়তে পারেন এবং একজন আরেক জনেক সেই বই থেকে ধাঁধা ধরতে পারেন। সঙ্গী যদি সঠিক উত্তর দিতে পারে তবে প্রতিবার তাকে চুম্বন দিন। এভাবে নিজেদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক তৈরি হবে।