করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে নিশ্চয়ই বারবার হাত ধুচ্ছেন! তবে জানেন কি? হাত ধোওয়ার পর তা ভেজা থাকলে জীবাণু আরও বেড়ে যায়।
এজন্য যতবার হাত ধুবেন ঠিক ততবারই তা টিস্যু অথবা শুকনো কাপড়ের সাহায্যে মুছতে হবে। হাত যেন শুষ্ক থাকে তা নিশ্চিত করুন, নইলে বিপদ আরও বাড়বে। এমনটিই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নেসোচি ওকিকি-ইগবোকি।
তিনি জানিয়েছেন, হাত ভেজা থাকলে জীবাণু আরও বেড়ে যায়। কারণ ভেজা হাতের মাধ্যমে যে কোনও ভাইরাস বা জীবাণু সহজেই প্রবেশ করতে পারে। যদি কোনও বস্তু জীবাণুযুক্ত থাকে আর তা যদি ভেজা হাতের সংস্পর্শে আসে তবে হাত মুহূর্তেই সংক্রমিত হবে।
আরেক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডেভিড কাটলারের মতে, ভেজা হাতের মাধ্যমে বাকটেরিয়া অতি সহজে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। কয়েকজন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন কীভাবে সঠিক পদ্ধতি হাত শুষ্ক রাখা যায়। বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় সবাই ঘন ঘন সাবান জলে হাত পরিষ্কার করার পর তা সঠিকভাবে শুকিয়ে নিচ্ছে কিনা বেশ উদ্বেগের বিষয়।
এতে করে সংক্রমণের ঝুঁকি কমার চেয়ে আরও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, যে কোনও ভাইরাস মোকাবিলায় অন্তত ২০ বা ৩০ সেকেন্ড ধরে হাত পরিষ্কার করতে হবে। তবে অবশ্যই হাত ধোওয়ার পর তা যথারীতি শুকিয়ে নিতে হবে।
এ বিষয়ে ওকিকি বলেন, হাত ধোওয়ার পর টিস্যু, নরম পরিষ্কার কাপড়, তোয়ালে বা এয়ার ড্রায়ারের সাহায্যে একেবারে শুষ্ক করে নিতে হবে। তবে সব বিশেষজ্ঞরাই পরামর্শ দিয়েছেন টিস্যু ব্যবহারের। কারণ তা সবসময় সঙ্গে রাখা সম্ভব হয়।
অন্যদিকে মায়ো ক্লিনিকের তথ্যানুসারে, ইলেক্ট্রিক এয়ার হ্যান্ড ড্রায়ারের সাহায্যে হাত শুকিয়ে নিলে জীবাণুরা ঠিকই হাত থেকে সরে যায়। তবে তা সহজেই আশেপাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ বিষয়ে ওকিকি বলেন, এয়ার ড্রায়ারে হাত শুকালেও জীবাণু যখন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে তখন অন্যরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে।
ড. কাটলারও এ বিষয়ে একমত। তার মতে, এয়ার ড্রায়ার যতই জীবাণু ধ্বংস করুক না কেন এর তাপের প্রভাবে কমবয়সীরা শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে আরও ভয়াবহ তথ্য।
এদিকে ওকিকি বলেন, হাত শুকানোর সবচেয়ে সর্বোত্তম পন্থা হল ছোট রুমাল বা তোয়ালের সাহায্যে তা মুছে নেওয়া। তিনি আরও বলেন, সঠিকভাবে হাত ধোওয়া ও শুকিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে অন্তত ১৪টি রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। তবে অবশ্যই হাত নিয়মিত ধুতে হবে। আর করোনাভাইরাস এড়াতে এই পদ্ধতির বিকল্প নেই।

No comments:
Post a Comment