মুন্ডুহীন এক ব্যাঙ আশ্চর্য করেছে বিশ্ববাসীকে - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 1 March 2020

মুন্ডুহীন এক ব্যাঙ আশ্চর্য করেছে বিশ্ববাসীকে





সম্প্রতি ইন্টারনেটে প্রকাশ হওয়া একটি ব্যাঙের ভিডিও ফুটেজ হতবুদ্ধি করে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের। ব্যাঙটির দেহের সব বৈশিষ্ট্যই অন্য ব্যাঙেদের মতো সুস্থ ও স্বাভাবিক, কিন্তু এর কোন মাথা নেই। বিজ্ঞানীরা ভেবে পাচ্ছেন না মুণ্ডুহীন এ ব্যাঙটি কীভাবে এখনও বেঁচে আছে।

ব্যাঙটির চোখ, নাক, মুখ ও জিহ্বার কোন অস্তিত্ব নেই। ঘাড়ের অংশটা খুবই পাতলা, মসৃণ টিস্যু দিয়ে আবৃত। আর মুখের বদলে রয়েছে ছোট্ট একটি ছিদ্র।

মুণ্ডুহীন ব্যাঙটি আবিষ্কার করেন ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট জিল ফ্লেমিং। তিনি ব্যাঙের ছবি তুলে তা পোস্ট করেন ট্যুইটারে। ফ্লেমিং আশা করেছিলেন, ছবিটি দেখে বিজ্ঞানীরা এর ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। কিন্তু ছবিটা দেখে বিস্মিত হয় সাধারণ মানুষ, পাশাপাশি হতবুদ্ধি হতে হয় বিজ্ঞানীদের।


ট্যুইটারে মুণ্ডুহীন ব্যাঙের ছবি দেখে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্নভাবে এর ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে অনেকেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে, জেনেটিক পরিবর্তনের কারণে ব্যাঙটির এমন হাল হয়নি।

খাওয়ার জন্য এর কোন মুখ নেই, এরপরও ব্যাঙটি সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বিচরণ করছে। অর্থাৎ, ব্যাঙটি মাথা হারিয়েছে বেশিদিন হয়নি।

অনেকে বলছেন, শিকারি প্রাণীর আঘাতে এর মুণ্ডু খোয়া যেতে পারে। ব্যাঙ শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী হওয়ায় শীতযাপনের সময় ওই আঘাত সেরে ওঠা সম্ভব।

কেউ কেউ মনে করছেন, ক্ষতিকর পরজীবীর আক্রমণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। একধরনের পরজীবী আছে যারা ব্যাঙের মসৃণ ত্বকের উপর ডিম পাড়ে। ডিমগুলো ফেটে বাচ্চা বের হওয়ায় সেগুলো ব্যাঙের ত্বক থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহ করে। এভাবে পরজীবীর আক্রমণে ব্যাঙের মাথা গায়েব হয়ে যাওয়া সম্ভব।

অনেকেই বলেন, মস্তিষ্ক ছাড়াও এভাবে প্রাণীদের বেঁচে থাকার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর এক খামার মালিক একটি মুরগির শিরচ্ছেদ করার পরও মুরগিটি আশ্চর্য উপায়ে আরও ১৮ মাস বেঁচে ছিল।







সূত্র: আপডেট খবর

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad