বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষস্থানীয় জরুরি পরিস্থিতি বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শুধু কোনও অঞ্চল লকডাউন বা বন্ধ করে দিলেই হবে না বরং পুনরায় এই ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে যে কাজটি করতে হবে তা হল, যারা এই ভাইরাসের আক্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাদের খুঁজে বের করতে হবে। এরপর তাদের অন্যদের থেকে আলাদা করে ফেলতে হবে। তাদের একাকী রাখতে হবে।’
‘আমরা যদি এখন শুধু লকডাউন করেই হাত গুটিয়ে বসে থাকি, তাহলে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর পুনরায় এই ভাইরাস হানা দিতে পারে। তখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।’
রায়ান বলেন, ‘চীন, সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ কোরিয়া যেভাবে লকডাউন করার পাশাপাশি প্রতিজন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা পরীক্ষা করেছে ঠিক সেভাবেই ইউরোপ এবং আমেরিকা সহ বিশ্বের সব দেশেরই উচিৎ করোনাভাইরাসে অসুস্থদের খুঁজে বের করা।’
করোনার ঝড়ে বিশ্বের ৩৫ টি দেশ লকডাউন হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সীমান্তে চলাচল। ১০০ কোটির মত মানুষ রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টিনে।
এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১৪ হাজার ৯০০জন। মারা গেছেন ১৩ হাজার ৫৬৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯৫ হাজার ৮৮০ জন। এখনও অসুস্থ ২ লাখ ৫ হাজার ৪৫১ জন।
করোনাভাইরাসে এখন সবচেয় খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।
ইতালিতে অসুস্থ ৫৩ হাজার ৫৭৮ জন, মারা গেছে ৪৮২৫ জন।
স্পেনে অসুস্থ ২৮ হাজার ৫৭২ জন, মারা গেছেন ১,৭২৫ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে অসুস্থ ২৬,৯০০ জন, মারা গেছে ৩৪৮ জন।
জার্মানিতে অসুস্থ ২৩,১২৯ জন, মারা গেছে ৯৩ জন।
ইরানে অসুস্থ ২১,৬৩৮ জন, মারা গেছেন ১,৬৮৫ জন।
ফ্রান্সে অসুস্থ ১৪,৪৫৯ জন, মারা গেছেন ৫৬২ জন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় অসুস্থ ৮,৮৯৭ জন। মারা গেছেন ১০৪ জন।
সুইজারল্যান্ডে অসুস্থ ৭,২২৫ জন। মারা গেছেন ৮০ জন।
যুক্তরাজ্যে অসুস্থ ৫ হাজার ১৮ জন। মারা গেছেন ২৩৩ জন।
নেদারল্যান্ডসে অসুস্থ ৩ হাজার৬৩১ জন, মারা গেছেন ১৩৬ জন।
বেলজিয়ামে অসুস্থ ৩ হাজার ৪০১ জন, মারা গেছেন ৭৫ জন।
জাপানে অসুস্থ ১ হাজার ৫৪ জন, মারা গেছেন ৩৬ জন।
ইন্দোনেশিয়ায় অসুস্থ ৪৫০ জন, মারা গেছেন ৩৮ জন।
ভারতে অসুস্থ ৩৪১ জন, মারা গেছেন ৭ জন ।
No comments:
Post a Comment