চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস এখন বিশ্বব্যাপী ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের ১০৫টি দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯ হাজার ৪৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থা ৫ হাজার ৭৪৮ জনের। প্রাণঘাতী কভিড-১৯ এ মারা গেছেন ৩ হাজার ৮০৬ জন। এদিকে করোনায় আক্রান্ত ৬২ হাজার ২৭৬ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৩৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১১৯ জনের। চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৩৮২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে ইতালি। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে এই দেশটিতে। গতকাল রবিবার একদিনেই ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৬ জনে। এদিকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৭৫ জনে।
অপরদিকে, মধ্যপ্রচ্যের দেশ ইরানে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৫৬৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১৯৪ জন। ফ্রান্সে ১ হাজার ২০৯ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১৯ জন। প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৬৯৬ যাত্রী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। জার্মানিতে এই ভাইরাসে ৯০২ জন আক্রান্ত হয়েছে, তবে এখনো কেউ মারা যায়নি। জাপানে আক্রান্ত হয়েছে ৪৮৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে কভিড-১৯ এর সংক্রমণে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। দেশেটিতে আক্রান্ত ৫৪০, মৃত্যু ২২।
স্পেনে আক্রান্ত ৪৩০ এবং মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের, সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ২৮১ এবং মারা গেছে ২ জন, যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ২৭৩ ও মৃত্যু ৩। ইরাকে আক্রান্ত ৫৪, মৃত্যু ৪। ভারতে ৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। তবে দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর প্রাণহানি ঘটেনি। দেরিতে হলেও বাংলাদেশে পৌঁছেছে করোনা, এখন পর্যন্ত তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। সুইডেন আক্রান্ত ২০৩, সিঙ্গাপুরে ১৫০, নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ২৬৫ এবং মৃত্যু ৩, নরওয়েতে আক্রান্ত ১৭৬, বেলজিয়ামে ২০০, হংকংয়ে আক্রান্ত ১১৫ এবং মৃত্যু ৩, মালয়েশিয়ায় ৯৯, অস্ট্রিয়ায় ১০৪, অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্ত ৮০, মৃত্যু ৩, বাহরাইনে ৮৫, কুয়েতে ৬১, কানাডায় ৬৪, থাইল্যান্ডে ৫০ এবং মৃত্যু ১, তাইওয়ানে আক্রান্ত ৪৫ এবং মৃত্যু ১, গ্রিসে ৭৩, আমিরাতে ৪৫, আইসল্যান্ডে ৫৮, সান মারিনোতে ৩৬ জন আক্রান্ত এবং মৃত্যু ১, ডেনমার্কে আক্রান্ত ৩৫, লেবাননে ৩২, ইসরাইলে ২৫, চেক রিপাবলিকে ৩২, আয়ারল্যান্ডে ২১, আলজেরিয়াতে ২০ এবং ভিয়েতনামে ৩০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
ওমানে ১৬, ফিলিস্তিনে ১৯, মিসরে ১৫, ফিনল্যান্ডে ২৫, ব্রাজিলে ২৫, ইকুয়েডরে ১৪, পর্তুগালে ৩০, রাশিয়াতে ১৭, ক্রোয়েশিয়ায় ১২, কাতারে ১৫, ম্যাকাউতে ১০, এস্তোনিয়ায় ১০, জর্জিয়ায় ১৩, রোমানিয়ায় ১৫, আর্জেন্টিনায় ১২, স্লোভেনিয়ায় ১৬, আজারবাইজানে ৯, বেলারুশে ৬, মেক্সিকোতে ৭, পাকিস্তানে ৭, ফিলিপাইনে আক্রান্ত ১০ এবং মৃত্যু ১, সৌদি আরবে ১৫, চিলিতে ১০, পোল্যান্ডে ১১, স্লোভাকিয়ায় ৫, পেরু ৭, ইন্দোনেশিয়ায় ৬, নিউজিল্যান্ডে ৫ ও হাঙ্গেরিতে ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া লুক্সেমবার্গে ও ডোমিনিক প্রজাতন্ত্রে ৫ জন করে , আফগানিস্তান, বুলগেরিয়া, সেনেগালে ও মালদ্বীপ ৪ জন করে, উত্তর মেসিডোনিয়ায় , বসনিয়ায় , দক্ষিণ আফ্রিকা ও লাটভিয়ায় ৩ জন করে এবং মরক্কোতে, ক্যামেরুন ও কম্বোডিয়া ২ জন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে, আন্দোরা, আর্মেনিয়া, জর্ডান, লিথুনিয়া, মোনাকো, নেপাল, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কা, তিউনিসিয়া, ইউক্রেন, ভুটান, কোস্টারিকা, ভ্যাটিকান সিটি, গিব্রালটার, সার্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং টোগোতে একজন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
No comments:
Post a Comment