সারা রাজ্যের সাথে মালদা জেলাজুড়েও শনিবার ছিল তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন।তারই মধ্যে কর্মী সম্মেলনে মালদা জেলার মালতিপুর বিধানসভায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ দেখা গেল এদিন প্রকাশ্যে। এদিন জেলানেত্রী চাঁচল মহকুমার প্রত্যেকটি ব্লক স্তরের কমিটিকে নিয়ে কর্মী সম্মেলন করেন।
রাজ্য নেত্রীর নির্দেশে সারা রাজ্যে কর্মী সম্মেলন হলেও মালদহের মালতিপুর বিধানসভায় গোষ্ঠীদ্বন্দকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ও বানচাল হল কর্মী সম্মেলন।
"বাংলার গর্ব মমতা" মমতা গর্ব কেন? তা ব্লক স্তরের নেতা ও কর্মীদের বোঝাতে গিয়েছিলেন। যেন এলাকার মানুষকে মমতার উন্নয়ন মূলক কাজ গুলিকে তুলে ধরেন। তবে বিপরীত জনগন বোঝাবার আগেই শুরু হল গোষ্ঠী দ্বন্দ। জানা যায় এদিন মালতিপুর বিধান সভার কালিগঞ্জ সংসদে চলছিল কর্মী সম্মেলন।
উপস্থিত হয়েছিলেন মালতিপুর বিধানসভার কো -অর্ডিনেটর রহিম বক্সী, ব্লক সভাপতি হাবিবুর রহমান, জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন, পূর্ত কর্মাধক্ষ্য সামসুল হক, কার্যকরি সভাপতি ইমদাদুল হক , প্রতিটি শাখা সংগঠনের সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং প্রতিটি অঞ্চল থেকে আগত নেতৃত্ববৃন্দ।
তবে জনসংযোগ ক্ষেত্রে বিধানসভার টিকিট পাওয়ার সম্ভাব্য চাঁচল ২ নং ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ইমদাদুল হক ও মালতিপুর বিধানসভার কো -অর্ডিনেটর রহিম বক্সী। রহিম বক্সী বহিরাগত,বিধানসভার বাইরের বাসিন্দা। ইমদাদুল হক বিধানসভারই প্রভাবশালী নেতে ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রের খবর।
তাই এদিন ইমদাদুল কোনো রাজ্য মন্তব্যতে রহিম বক্সীর প্রতি চটে যায়। যা উভয়পক্ষের কর্মীদের মধ্যে তুমুল ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।কর্মীরা হাতে লাঠি নিয়ে উচিয়ে মারামারির চেষ্টা করে।
তবে এদিন কেউ হতাহত হয়নি বলে খবর। এই ঘটনাকে কে ঘিরে জেলা তৃণমূল অস্বস্তিতে রয়েছে। দুদিন আগেই
তৃণমুল সুপ্রিমো জেলা নেতৃত্বকে বিঁধেছেন। মুখ্যমন্ত্রী জেলা ছাড়তেই আবার এই ঘটনা। গোষ্ঠীদ্বন্দ চলতেই থাকলে বিধানসভায় জনসংযোগ বাড়বে কি প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তবে এদিন উত্তেজনামূলক জেলা সভানেত্রী অনুপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment