সীমান্তে বিএসএফ এর বিরুদ্ধে ওঠা নানান অভিযোগ নিয়ে সরব হলেন অর্পিতা ঘোষ

সীমান্তে বি এস এফ এর বিরুদ্ধে ওঠা নানান  অভিযোগ নিয়ে এবার সরব হলো রাজ্যসভার সাংসদ তথা দক্ষিন দিনাজপুর জেলার জেলা তৃনমুল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ।পাশাপাশি সম্প্রতি বালুরঘাট থানার  গোপালবাটি অঞ্চলের ভারত বাংলা দেশ সীমান্ত কুমারগ্রামে বি এস এফ র হাতে অত্যাচারিত হয়ে মৃত  অলোক বর্মন নামে এক  যুবককের বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে সমবেদনা জানান সাংসদ অর্পিতা ঘোষ।






আজ সন্ধ্যায়  সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ওই মৃত যুবক অলোক বর্মনের চকশীতলা গ্রামের বাড়ি তে যান।  তাকে দেখে কান্নায় ভেংগে পড়েন মৃত যুবকের মা মমতা বর্মন ও তাদের পরিবারের লোকজন। স্থানিও বাসিন্দারাও  ভীড় জমান সাংসদ আসায় তাকে মৃত যুবককে যে ভাবে বি এস এফ পিটিয়ে মেরেছে সে কথা তারা সাংসদকে জানিয়ে এর বিচার চান।






যদিও বি এস এফ এর তরফে আগেই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বিকার করে বলা হয়েছিল অলোক বর্মনকে ফেনসিডিল পাচার করার দায়ে গ্রেফতার করার পর ক্যাম্পে আলাদা ঘরে রাত্রে রাখা হয়েছিল।  পরের দিন তাকে গলায় ফাস দিয়ে ওই ঘরে ঝুলতে দেখে বি এস এফ এর জওয়ানরা। তারা অলোক আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি জানায়।






আর এই ঘটনা নিয়ে গ্রামবাসিদের সাথে দফায় দফায় বিক্ষোভ প্রতিবাদে উত্তেজনা দেখা দিলে বালুরঘাট বি ডিও পুলিশ নিয়ে গিয়ে ক্যাম্পের ঘর থেকে অলোকের দেহ উদ্ধার করে বালুরঘাট হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর পাশাপাশি মৃত্যুর কারন নিয়ে  তদন্তের আশ্বাস দিলে সেদিন ( ১৬ মার্চ) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয় পুলিশের পক্ষে।





আর এই ঘটনার পরেই কলকাতা থেকে জেলা তৃনমুল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ ওই মৃত পরিবারের পাশে থাকার সব রকম সাহায্যের পাশাপাশি তার পরিবারকে সমবেদনা জানান। এদিকে গতকাল রাজ্যসভ্যার সাংসদ নির্বাচিত হয়ে জেলায় ফিরে আসার পর আজ সন্ধ্যায় তৃনমুল সভাপতি ওই পরিবারের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানাতে ছুটে যান।






গ্রামে ঢুকে ওই পরিবারের সাথে দেখা করে অর্পিতা ঘোষ জানান তিনি এখন সাংসদ হয়েছেন তাই তিনি এবার দিল্লিতে গিয়েই সীমান্তে বিএস এফ এর অত্যাচারের ব্যাপারে সরব হওয়ার পাশাপাশি পুরো ঘটনা জানিয়ে এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তদন্ত চাইবো। 






তিনি আরও বলেন বি এস এফ বার বার নিজেদের  প্যারামিটার লংঘন করে এসব কাজ করছে। যা তাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। সাংসদ জানান তৃনমুল এই পরিবারের পাশে আছে থাকবে। এদের আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি তার ছোট ভাইয়ের একটা ব্যবস্থ্যা করে দেওয়া  হবে। যাতে সংসারের আর্থিক হাল ভাল হয়। 





সাংসদ হয়েই তৃনমুল জেলা সভাপতি মৃত যুবক অলোক বর্মনের মা মমতা দেবীর সাথে দেখা করতে আসায় খুশি শোকার্ত পরিবারের পাশাপাশি খোদ মমতা মহন্ত নিজে। তিনি জানান আমরা দিদির দল করি। এখন দিদি  আমাদের আশা ভরসা।