চীনে দুই মাসে মাস্ক তৈরির ৮৯৫০ নতুন কারখানা - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 28 March 2020

চীনে দুই মাসে মাস্ক তৈরির ৮৯৫০ নতুন কারখানা

ছবি: চায়না ডেইলি

বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উৎপত্তিস্থল চীনে। শুরুতে দেশটির হুবেই প্রদেশের মানুষ সংক্রমিত হতে থাকে ভয়ানক এ ভাইরাসটিতে। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে চীনের অন্যান্য রাজ্য থেকে শুরু করে গোটা বিশ্বে। এই ভাইরাসে চীনে প্রাণহানির সঙ্গে অর্থনীতিও দ্রুত মন্দার দিকে চলে যায়।
গণহারে কোয়ারেন্টাইন ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দেশটির কলকারখানা নির্দিষ্ট সময়ে খুলতে পারেনি। তবে মন্দা মোকাবিলায় বসে থাকেনি চীন। বিশ্বের বর্তমান চাহিদা সামনে রেখে কারখানাগুলো আগের পণ্যের পরিবর্তে নতুন পণ্য উৎপাদন করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক হওয়ায় দেশটিতে গত দুই মাসে ৮ হাজার ৯৫০টি নতুন ফেস মাস্ক তৈরির কারখানা হয়েছে। এসব কারখানা মাস্ক উৎপাদন করে এরইমধ্যে করোনা আক্রান্ত দেশগুলোতে রপ্তানিও শুরু করেছে।
ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার যেসব সরঞ্জাম গুরুত্বপূর্ণ, তার মধ্যে মাস্ক অন্যতম। চীনের অর্থনীতিতে মন্দা শুরু হলে দেশটির ব্যবসায়ীরা বসে না থেকে মাস্ক উৎপাদন শুরু করেন। এতে আগের আগের চেয়ে কয়েক সেন্টস বেশি মুনাফা হচ্ছে মাস্কে। তাই টাকার নোটের মতোই প্রতিদিন লাখ লাখ মাস্ক উৎপাদন করা হচ্ছে দেশটির কারখানাগুলোতে।
করোনায় বিশ্বব্যাপী এন ৯৫ মাস্কের ব্যাপক চাহিদা থাকায় চীনে নতুন করে গত দুই মাসে প্রায় নয় হাজার মাস্ক কারখানায় দিনরাত ২৪ ঘণ্টা মাস্ক তৈরির কাজ চলছে। এসব মাস্ক রপ্তানি করে করোনায় দেশটির যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে চাইছে চীন।
গুয়ানডং রাজ্যের ডনগান শহরের ব্যবসায়ী কিউ গুয়ানতু জানান, তিনি মাস্ক তৈরির কারখানায় প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। বিনিয়োগ তোলার জন্য তার কোন সমস্যা নেই। ৭০টি শিপমেন্ট মাস্কের প্রত্যেকটি ৭১ হাজার ডলারের বেশি বিক্রি হয়েছে। আরও দুইশ’র বেশি অর্ডার হাতে রয়েছে, যা থেকে ১৪ মিলিয়ন ডলার আসবে।
একই শহরের এন ৯৫ মাস্ক তৈরি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় ব্যবস্থাপক শি জিনহুই বলেন, ‘মাস্ক আসলে এখন নোট ছাপছে। মাস্কে আগের চেয়ে কয়েক সেন্টস বেশি মুনাফা হচ্ছে। টাকার নোটের মতোই প্রত্যেক দিন ৬০ থেকে ৭০ হাজার মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে।’

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad