দিল্লীর তবলিগিতে অংশ নেওয়া ৬ জনের মৃত্যু, মাওলানার বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিল কেজরি সরকার

দিল্লীর তবলিগিতে অংশ নেওয়া ৬ জনের মৃত্যু, মাওলানার বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিল কেজরি সরকার

ছয় মুসল্লির মৃত্যুর একদিন পর তেলঙ্গানা সরকার জানিয়েছে যে মৃতরা দিল্লির নিজামুদ্দিন অঞ্চলে ধর্মীয় জামাতে অংশ নিয়েছিলেন। মৃত ছয়জনকে  পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং তারা নভেল  করোনভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। আলমী মারকাজ বাংলেওয়ালি মসজিদ প্রশাসন দিল্লি পুলিশকে  দায়ী করেছে  ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া জামাতীদের না আটকানোকে ।খবর সর্বভারতীয় টেলিভিশন টাইমস নাউয়ের।

চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় দিল্লির নিজামুদ্দিনের ওই মসজিদের জমায়েতে দুই হাজারেরও বেশি লোক যোগ দিয়েছিল, তাদের মধ্যে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদ আরব ও কিরগিজস্তান থেকে আসা প্রতিনিধিরাও ছিলেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। 

এই জমায়েতে যোগ দেওয়া কাশ্মীরের এক ইমামও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে শ্রীনগরের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।

তেলেঙ্গানায় যে ছয় জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে নিজামাবাদ ও গাডওয়ালে। এদের মধ্যে দুই জন মারা গেছেন গান্ধী হাসপাতালে, একজন অ্যাপোলো হাসপাতালে ও আরেকজন গ্লোবাল হাসপাতালে।

যারা এদের সংস্পর্শে এসেছিলেন স্পেশাল টিম তাদের শনাক্ত করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দপ্তর থেকে পাঠানো একটি নোটে বলা হয়েছে। পরীক্ষার পর তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে ওই নোটে বলা হয়েছে।

দিল্লির ওই জমায়েত শেষে সেখান থেকে তেলেঙ্গানায় যাওয়া অন্তত ১০ ইন্দোনেশীয়রও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।   




টাইমস নাউ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে,
 মারকাজ প্রশাসন অভিযোগ করেছে যে ২৪ শে মার্চ লকডাউনের আদেশ পাওয়ার পরে প্রশাসন এসএইচও-কে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছিল, প্রায় ১০০০ জন জামাতীদের চলাচলের জন্য পাস চেয়েছিল যারা ঘটনাস্থলে আটকে ছিল।  প্রশাসনের অভিযোগ, এসডিএম যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে 'কোনও জরুরিতা' দেখায়নি পুলিশ ।

 নয়াদিল্লির নিজামুদ্দিন অঞ্চলে 1-15 মার্চের মধ্যে একটি ধর্মীয় সমাবেশে অংশ নেওয়া ছয়জনকে করোনাভাইরাসের জন্য ইতিবাচক পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং পরে সোমবার তেলেঙ্গানায় একই কারণে তাদের মৃত্যু হয়।  15 মার্চ সমাবেশ সমাপ্ত হওয়ার সময়, কিছু লোক লকডাউন হওয়ার পরেও এই অঞ্চলে অবস্থান অব্যাহত রেখেছিল এবং ২৪ শে মার্চও সেখানে অবস্থান করছিল তারা।

 দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন।
  সোমবার দিল্লি সরকার পুলিশকে 21 দিনের করোনভাইরাস লকডাউন লঙ্ঘনের জন্য ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে বলেছে।

 " জানা গেছে যে নিজামুদ্দিন মারকাজের প্রশাসকরা করোনভাইরাস লকডাউন শর্ত লঙ্ঘন করেছিল এবং এখন বেশ কয়েক জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা লোকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দিল্লি সরকার পুলিশকে মাওলানার বিরুদ্ধে এফআইআর রেজিস্ট্রার করতে বলছে। 

 সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, এক আধিকারিক বলেছেন, সমাবেশে অংশ নেওয়া প্রায় ৪০০ জন এবং নিজামুদ্দিনের ১ ৬৩ জনকে পরীক্ষার জন্য লোক নায়ক হাসপাতাল দিল্লিতে ভর্তি করা হয়েছে।  "আমরা নিজামুদ্দিনের বাকি অংশ থেকে মারকাজের বিল্ডিংকে আলাদা করে রেখেছি, যেখানে জনসমাগম হয়েছিল, আমরা লোকদের চেক-আপ করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে সহায়তা দিচ্ছি, গত দু'দিনে প্রায় 200 লোককে নেওয়া হয়েছে  ।

মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবরে দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১২৫১ জন ও মৃতের সংখ্যা ৩২ জন ছিল।