কোলন ক্যান্সার ও তার কিছু লক্ষণ

ক্যান্সার এমন এক ব্যাধী যা মানবদেহের যেকোন অংশকে আক্রমণ করতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষাষায় বৃহদান্তের ক্যান্সারকে বলা হয় বাওয়েল বা কোলন ক্যান্সার (Bowel or colon cancer)। ক্ষুদ্রান্তের তুলনায় বৃহদান্ত্রের ক্যান্সারের হার অনেক বেশি। পশ্চিমা বিশ্বে নারী-পুরুষ উভয়েরই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক বেশি। আমাদের দেশেও ইদানিং এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

.

কোলন ক্যান্সার কি?

বৃহদান্ত্রে যখন কোষ বিভাজনের নির্দিষ্ট ধারা ভঙ্গ হয় এবং কোষগুলো অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায় তখন তাকে কোলন ক্যান্সার বলে। বেশিরভাগ কোলন ক্যান্সারই বিভিন্ন ধরনের পলিপ (adenomatous polyp)-এর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির (proliferation)-এর ফল। প্রথমে বৃহদন্ত বা অ্যাপেডিক্সের ক্ষুদ্রাকার কোষীয় পিন্ডে পলিপ তৈরী হয়। ধীরে ধীরে পলিপ থেকে ক্যান্সার সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে দেহের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পড়ে সুস্থ টিস্যুকে আক্রমণ করে।

কোলন ক্যান্সার এর লক্ষণ কি?

১. সাম্প্রতিক সময়ে পায়খানার অভ্যাসে পরিবর্তন হওয়া। ডায়রিয়া বা কৌষ্ঠকাঠিন্য হওয়া এবং এটি বেশ কিছুদিন ধরে হওয়া।

২. পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত পড়া।

৩. বেশ কিছুদিন ধরে পেটে অস্বস্থি। পেটে ব্যথা বা পেট ফাঁপা লাগা।

৩. পায়খানা পুরোপুরি হয়নি এরকম অনুভূতি হওয়া ।

৪. ওজন কমে যাওয়া ।

কোলন ক্যান্সার এর ঝুঁকিতে আছেন কারা?

১. একটু বয়স্ক মানুষ, সাধারণত যাদের বয়স ৫০ এর কাছে

২. পরিবারের কারও কোলন ক্যান্সার এর ইতিহাস থাকলে

৩. আঁশ জাতীয় খাবার কম খাওয়া (শাক-সব্জি)

৪. চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া

৫. ধুমপান করা

৬. ডায়াবেটিস এর রোগী

৭. মদ্যপানের অভ্যাস

8. স্থুলতা

চিকিৎসা পদ্ধতি:

কোলন ক্যান্সার এর চিকিৎসার অনেকগুলো অপশন আছে। যেমনঃ

১. সবচেয়ে ভালো উপায় হল সার্জারি। ডাক্তার অপারেশনের মাধ্যমে ক্যান্সার আক্রান্ত অংশ কেটে ফেলে দেন।

২. কেমোথেরাপি

৩. রেডিয়েশন থেরাপি

কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে:

কিছু কিছু অভ্যাস মেনে চললে কোলন ক্যান্সার থেকে বাঁচা যেতে পারে। যেমনঃ

১. প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সব্জি তথা ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া ও চর্বি জাতীয় খাবার কম খাওয়া

২. ধূমপান ত্যাগ করা

৩. অতিরিক্ত ওজন কমানো

৪. নিয়মিত ব্যায়াম করা।

৫. মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা পরিত্যাগ করা। 






সূত্র: জাস্ট নাও24