নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ষ বরনের রাতে যখন দেশের মানুষ নতুন বছরে মেতে উঠেছিল, সেই রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে ধনকৈইল এলাকার হরিহরপুরে এক মহিলা ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। রাতে যখন হোটেল কর্মী মহিলা হোটেল থেকে বাড়ি ফিরছিল, সেই সময় তিন দুষ্কৃতিকারি মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে। ঘটনায় তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করলেও এখনও এক জন অধরা। পলাতককে গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জ থানা ঘেরাও কর্মসূচী পালন করে বিজেপি মহিলা মোর্চা নেতৃত্ব।
দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল করে এসে থানা ঘেরাও কর্মসূচী পালন করে মহিলা মোর্চা। যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেই কারনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। থানা ঘেরাওয়ের পর থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয় বিজেপি জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহেড়ী নেতৃত্ব বিজেপি মহিলা ও বিজেপি কর্মীরা। এদিন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহেড়ী অভিযোগ করে বলেন, আগে দক্ষিনবঙ্গে এই ধরনের ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। বিধানসভা উপনির্বাচনের পর তৃনমূল জয়ী হওয়ার পর কালিয়াগঞ্জেও ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। মানুষ তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। যারা ধর্ষণ করেছে, তারা তৃনমূলের দুষ্কৃতিকারী।
এই বিষয়ে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তপন দেবসিংহ জানান, বিজেপির গুরু যেমন, তার শিষ্য কেমন হতে পারে। যে মহিলার সাথে এই ঘটনা ঘটেছে, পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। তাদের পক্ষ থেকে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তার বাড়িতে গিয়ে। তাদের সব দিক থেকে সাহায্য করা হবে এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে, পলাতক দুষ্কৃতিকারীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
No comments:
Post a Comment