ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জোট ভেঙে বেরিয়ে গেছেন দুই বিশ্বস্ত ও পুরনো সঙ্গী অকালি দল ও জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি)।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোট ভাঙাকে বিজেপির জন্য বেশ বড় ধরনের ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মুসলিমবিদ্বেষী তকমা প্রাপ্ত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ইস্যুতে এ ভাঙন ধরেছে বলে দেশের প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে।
দলটির অন্যতম নেতা মনজিন্দর সিং শীর্ষা এনডিটিভিকে বলেছিলেন, ‘সিএএ নিয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আর তা হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন থেকে মুসলিমদের বাদ দেওয়া যাবে না।
এদিকে একই ইস্যুতে জননায়ক জনতা পার্টি বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে বলে বলা হলেও এ বিষয়ে স্পষ্ট কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
প্রমাণ হিসেবে বলা হচ্ছে, হরিয়ানা সীমান্তে অন্তত ১২টি আসন দাবি করেছিল জেজেপি। কিন্তু বিজেপি এতে সাড়া না দিলে দীর্ঘদিনের জোট ত্যাগ করে জেজিপি।
এদিকে এনআরসি ও সিএএ দ্বন্দ্বে অকালি নেতারা বিজেপি ছেড়েছে বলা হলেও এর সঙ্গে নির্বাচনী প্রতীকের বিষয়টিও জড়িত বলে জানিয়েছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন নিয়েই নাকি দ্বন্দ্বটা মূখ্য এখন।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৫ সালের দিল্লি নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রার্থী দিলেও বিজেপির প্রতীক পদ্ম নিয়ে নির্বাচন করেছিল অকালি।
কিন্তু এবারের নির্বাচনে অকালি নেতারা নিজেদের দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা নিয়ে লড়তে চান বলে জানিয়েছেন, যা মেনে নেয়নি বিজেপি। আর সে দ্বন্দ্বেই জোট ভেঙ্গে সরে আসে অকালি।
এমতাবস্থায় দুই বিশ্বস্ত সঙ্গী হারা হয়ে দিল্লি নির্বাচনে অনেকটা দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে পদ্ম শিবিরে। বিষয়টি ক্ষমতাসীন দলটির জন্য বড় একটি চাপ বলে মনে করছেন অনেকে।
এমন দুঃসময়ে যে স্বস্তির দেখা মিলছে গেরুয়া শিবিবে তাহল জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) ও লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে মোদির দল। দিল্লিতে জেডিইউ দু’টি ও এলজেপি একটি আসনে লড়বে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সঙ্গে মিলে বিজেপি জোটের বিরুদ্ধে লড়বে কংগ্রেস।
দিল্লি বিধানসভার ৭০ আসনের নির্বাচনে আরজেডির জন্য চারটি রেখে বাকিগুলোতে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস।
সূত্র: যুগান্তর

No comments:
Post a Comment