নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মা মারা গেছেন ভোর রাতে, দুপুর ২ টা বেজে গেলেও মৃতদেহ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া বা চিকিৎসক দেখানো অথবা মায়ের শেষ কাজের জন্য কোনও হেলদোল নেই ৩ সন্তান সহ আত্মীয়দের। সেগুলো ফেলে রেখে সন্তানরা জমি জমা মাপঝোঁক-এর কাজেই ব্যস্ত। মৃত/জীবিত দেহ সেভাবেই ঘরে পড়ে থাকলো কাপড় ঢাকা দিয়ে। ঘটনা শুনে আসল পঞ্চায়েত সদস্য, পুলিশ।
উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া সোহারই মোড় এলাকার এহেন ঘটনা শুনে লজ্জায় মুখ ঢেকেছে রায়গঞ্জ সহ উত্তর দিনাজপুর।
বুধবার রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া সোহারই মোড় এলাকায় মায়ের মরদেহ ঘরে ফেলে জমি জমা মাপঝোঁকের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো। মৃত প্রাথমিক শিক্ষকের স্ত্রী নিয়তী দত্তর নিথর দেহ ঘরে ফেলে রেখে জমি জমা মাপঝোঁক-এর কাজে ব্যস্ত থাকলো তার পরিবার। জানা গেছে, নিয়তী দত্তের স্বামী ৭ মাস আগে মারা গেছে। নিয়তী দত্ত অসুস্থ অবস্থায় মেয়ে স্বপ্না দত্তের কাছেই থাকতেন। পাশাপাশি থাকেন নিয়তী দেবীর দুই পুত্র সন্তান আশীষ ও কমল দত্ত। বুধবার সকালে জ্যোৎস্না দেখে মা নিথর হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। খবর দেয় পড়শী ও আত্মীয়দের। সকলেই জানান, মা আর নেই। চিকিৎসা শাস্ত্র ও ভারতীয় আইন মোতাবেক একমাত্র রেজিষ্ট্রার্ড চিকিৎসকই পারেন যে কোনও ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করতে। সেই মোতাবেক কোন পদক্ষেপ নেয়নি নিয়তী দেবীর ৩ সন্তান।
অভিযোগ তড়িঘড়ি লেবার, আমিন ডেকে জমি জমা মাপঝোঁক করে সীমানা খুঁটি লাগাতে শুরু করেছে ২ ভাই। ভাইয়েদের পাল্টা অভিযোগ, বোন মাকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে দেয়নি। এইসব অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলছে দুপুর ২ টা অবধি৷ খবর পেয়ে এসেছে পুলিশ এসেছে প্রশাসন।
কিন্তু সভ্য সমাজে এক মায়ের নিথর দেহ এই ভাবে পড়ে থাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়, লজ্জায় মুখ ঢেকেছে সভ্য সমাজ।
No comments:
Post a Comment