লন্ডনে দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা পেল বাংলা ভাষা - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 4 December 2019

লন্ডনে দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা পেল বাংলা ভাষা







ইংরেজির পরেই লন্ডনে সবচেয়ে বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন। লন্ডনে এমন অধিবাসীর সংখ্যা ৭১ হাজার ৬০৯ জন। এর ফলে লন্ডনে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে উঠে এসেছে বাংলা।

বহুল পরিচিত সিটি লিট অ্যাডাল্ট কলেজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক জরিপে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, লন্ডন হলো বহু সংস্কৃতির শহর।

সেখানে বসবাসকারীদের মধ্যে ৩ লাখ ১১ হাজার ২১০ জন ঘরে একটি বিদেশী ভাষা ব্যবহার করেন। আর পুরো লন্ডনে প্রতি দশজনের মধ্যে একজন দ্বিতীয় একটি ভাষায় কথা বলেন।

লন্ডনে সবচেয়ে বেশি মানুষ কোন ভাষায় কথা বলেন তা নিয়ে সম্প্রতি জরিপ চালায় ওই কলেজটি।

এর পর জরিপের ফলে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি মানুষ কথা বলেন ইংরেজি ভাষায়। এরপরেই সবচেয়ে বেশি যে ভাষায় কথা বলে মানুষ তা হলো বাংলা।

এরপরে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পোলিশ, চতুর্থ টার্কিশ। শুধু লন্ডনে বসবাসকারী ৭১ হাজার ৬০৯ জন কথা বলেন বাংলায়। এই ভাষাটি তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বরো’তে সবচেয়ে বেশি মানুষ বলেন। বরোগুলো হলো ক্যামডেন, নিউহ্যাম এবং টাওয়ার হ্যামলেট। এতে বলা হয়, লন্ডনে বাংলা হলো দ্বিতীয় অফিসিয়াল ভাষা।

লন্ডনে বসবাসকারী ৭১ হাজার ৬০৯ মানুষ এটাকে তাদের প্রধান ভাষা হিসেবে ব্যবহার করেন।

জরিপের ফল অনুযায়ী বাংলার পরে রয়েছে পোলিশ ভাষা। এ ভাষায় কথা বলেন ৪৮ হাজার ৫৮৫ জন। টার্কিশ ভাষায় কথা বলেন ৪৫ হাজার ১১৭ জন। গুজরাটি ভাষায় কথা বলেন ৪৩ হাজার ৮৬৮ জন।

পাঞ্জাবি ভাষায় কথা বলেন ২২ হাজার ১০৮ জন। উর্দুতে কথা বলেন ১৮ হাজার ১২৭ জন। ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলেন ১৩ হাজার ১৩ জন। আরবিতে কথা বলেন ১১ হাজার ৫১৩ জন এবং পর্তুগিজ ভাষায় কথা বলেন ৯ হাজার ৮৯৭ জন।

জরিপের ফল অনুসারে শতকরা মাত্র ৩ ভাগ ব্রিটিশ  সাবলীলভাবে পোলিশ ভাষায় কথা বলতে পারেন। এর অর্থ ব্রিটেনের শতকরা ৯৭ ভাগ মানুষ যথাযথভাবে লন্ডনে বসবাসকারী ৪৮ হাজার ৫৮৫ জন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন না।

ইলিংয়ে বসবাসরত শতকরা প্রায় ৬ ভাগ মানুষ বলেছেন, তারা ঘরে পোলিশ ভাষায় কথা বলেন। বার্নেটে এই হার শতকরা ২ ভাগ। ব্রোমলেতে শতকরা ১ ভাগ, লিউয়িশ্যামে শতকরা ২ ভাগ, মারটনারসে শতকরা ৪ ভাগ, আর শতকরা এক ভাগ রিচমন্ডে। সিটি লিটের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের পরিচালক ক্রিস জোনস বলেছেন, সিটি লিটে আমরা বিচিত্র সংস্কৃতিকে সেলিব্রেট করতে পছন্দ করি।


সূত্র: সিটিজি  টাইমস

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad