প্রযুক্তির এ যুগে চাকুরি খুজতে বেশি কষ্ট হয় না। ঘরে বসে ইন্টারনেট ঘাটলেই চাকরির বড় বাজার সামনে হাজির। কিন্তু বিপত্তিটা ঘটে কোথায়, প্রায় সময় ভুয়া প্রতিষ্ঠানের ‘কর্ম খালি আছে’ বিজ্ঞাপনের খপ্পরে পড়তে হয় প্রার্থীদের। এ বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পেতে চাকুরি প্রার্থীদের জন্যে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা…
বিস্তারিত তথ্য নেই
চাকরির প্রস্তাব ভুয়া হলে বিজ্ঞাপনে সাধারণত বিস্তারিত তথ্য থাকে না। চাকরি, কর্মী হিসেবে আপনার দায়িত্ব, প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য বিষয় লেখা থাকবে না। অর্থাৎ ই-মেইল পড়ে পরিষ্কার ধারণা মিলবে না।
টাকা চাওয়া
যে কোন কারণ দেখিয়ে টাকা চাওয়া, কোথাও টাকা জমা দেওয়ার কথা বলা, বিকাশ করা ইত্যাদি ভুয়া চাকরির প্রস্তাব বলে ধরে নিতে পারেন। নিরাপত্তা বিষয়ক কোন জমার কথা বললেও বিস্তারিত খোঁজখবর না নিয়ে তাতে সাড়া দেওয়া উচিৎ হবে না।
স্পাম ফোল্ডারে যাবে
সাধারণত ভুয়া চাকরির প্রস্তাবের ই-মেইল আপনার অ্যাকাউন্টের ‘স্পাম ফোল্ডারে’ জমা পড়বে। কারণ হল, এগুলো অসংখ্য মানুষের কাছে পাঠানো হয়। আবার স্পাম ফোল্ডারে না এলেই যে তা আসল, এমনটা ভাবারও কোন কারণ নেই।
প্রেরক ‘অস্পষ্ট’
এসব ই-মেইল যে ঠিকানা থেকে আসে, তা বিভ্রান্তিকর। ই-মেইল অ্যাড্রেসে কোম্পানি স্পষ্ট নয়। যেমন—আপনি দেখলেন সেখানে লেখা ‘এবিসি.কম’। তবে কোন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির সঠিক প্রস্তাব সাধারণত কোন জি-মেইল, ইয়াহু মেইল বা হটমেইল থেকে আসার কথা নয়। তাদের নিজস্ব ডোমেইনের ই-মেইল থেকে পাঠানো হয়। তবে সব কম্পানির ক্ষেত্রেও তা খাটে না।
ঠিকানা, ভাষা
ই-মেইলের শেষে প্রতিষ্ঠানের যে ঠিকানা দেওয়া থাকে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা ভুল। আপনি যাচাই করে দেখে নিতে পারেন। এ ছাড়া এদের ই-মেইলে ভাষাগত দুর্বলতা চোখে পড়বে। চোখে পড়বে বানান ও ব্যাকরণগত ভুলও।
এর বাইরে
যদি সেখানে আপনার জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, ক্রেডিট কার্ডের নম্বর ইত্যাদি চায় তবে ভুয়া ধরে নিন। সত্যিকার প্রস্তাবে শুরুতেই এসব তথ্য চাওয়া হবে না। খুব বেশি হলে আপনার লেখাপড়া, অভিজ্ঞতা বা এ সংক্রান্ত কোন তথ্য চাইতে পারে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
No comments:
Post a Comment