নতুন বছরে নেওয়া শপথ বাস্তবায়নের জন্য কিছু টিপস্ জেনে নিন - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 31 December 2019

নতুন বছরে নেওয়া শপথ বাস্তবায়নের জন্য কিছু টিপস্ জেনে নিন

image_750x_5cb4b1e0279ea



আর একটা দিনের অপেক্ষা। দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন ইংরেজি বছর। আর নতুন বছরের শুরুতে অনেকেই নিজেকে বদলানোর জন্য একাধিক সংকল্প করেন। সুস্বাস্থ্য অর্জনের অথবা পয়সা অপচয় কমানোর সংকল্প করেন। অথবা নতুন কোন অভ্যাস অর্জনের চেষ্টা করেন বা কোন বদভ্যাস বর্জনের চেষ্টা করেন। আর সংকল্পগুলো বস্তবায়নে কিভাবে সফল হওয়া যায়, তা নিয়ে সবাই ভাবেন। তাই আপনাদের জন্য বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে পাঁচটি উপায় বাতলে দেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করে দেখুন সফল হতে পারেন অতি সহজে।

ধীরে শুরু করুন

এমন সংকল্প নিন যেটা বাস্তবে মেনে চলা সম্ভব। তাহলেই আপনার সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়বে। মনোবিজ্ঞানী র‍্যাচেল ওয়েনস্টেইন, ‘এমন একটা কিছু ভেবে বসি যে, নতুন বছরে আমি নতুন এক মানুষ হয়ে উঠবো-এমন ভাবনার ভিত্তিটাই গরল।’

আপনাকে শুরু করতে হবে ধীরে। তারপর আস্তে আস্তে সংকল্পের পারদ চড়াতে হবে। যেমন, প্রথমেই ম্যারাথন দৌঁড়ের চিন্তা না করে আপনাকে শুরুতে একটি দৌঁড়ানোর জুতো কিনে জগিং শুরু করতে হবে। অথবা আপনি যদি রান্না পছন্দ করেন, প্রথম দিকে আপনি সপ্তাহে একটি আইটেম রাঁধতে অন্যকে সাহায্য করুন, যাতে রান্নাটা আপনি রপ্ত করতে পারেন। কারণ, মিস ওয়েনস্টেইন বলছেন, বাস্তব জীবনে পরিবর্তন আসে ধীরে ধীরে।

পরিষ্কার-স্বচ্ছ লক্ষ্য

আমরা অনেক সময় লক্ষ্য স্থির করার আগে ভাবি না, ঠিক কিভাবে তা অর্জন করা যাবে। সুতরাং খুঁটিনাটি পরিকল্পনা খুবই জরুরি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিল লিভি বলেন, ‘‘যেমন 'আমি জিমে যাবো' এই সংকল্প করার চেয়ে 'আমি মঙ্গলবার বিকালে এবং শনিবার সকালে জিমে যাবো' এমন পরিকল্পনা করলে সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়বে।’ সুতরাং শুধুমাত্র একটি ধোঁয়াটে মনস্কামনা প্রকাশের চেয়ে এমন কিছু চাইতে হবে, যা বাস্তবে করা সম্ভব।

সমর্থন তৈরি

আপনার সংকল্প বাস্তবায়নের পথে যদি আপনি আর কাউকে যুক্ত করতে পারেন, তাহলে তা আপনাকে অনেক বেশি উদ্বুদ্ধ করবে। যেমন কোন ক্লাসে বন্ধুকে সঙ্গে নেওয়া বা আপনার সংকল্পকে মানুষের সামনে প্রকাশ করলে নিজের মধ্যে প্রণোদনা বাড়বে। অন্যরা জানলে লক্ষ্য অর্জনে আপনি বেশি করে চেষ্টা করবেন। ব্রিটেনের ওয়ারইক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক ড. জন মাইকেল বলছেন, ‘আপনার সংকল্প সফল হলে অন্যের মঙ্গল হতে পারে, ব্যর্থ হলে অন্যের ক্ষতি হতে পারে -এমন পরিস্থিতি মানুষকে বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করে।’ সুতরাং আপনার সংকল্প বাস্তবায়নে অন্যদের যুক্ত করুন, তাদের সাহায্য নিন।

ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলতে হবে

যখন লক্ষ্য অর্জন কঠিন মনে হয়, ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতিকে বিশ্লেষণ করতে হবে। কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি আপনাকে হতে হচ্ছে? কোন কৌশল সবচেয়ে কার্যকর? কোন কৌশল কাজে লাগছে না? বিশ্লেষণের পর আপনাকে বাস্তবমুখী পথ নিতে হবে। স্বল্প অর্জনকেও দাম দিতে হবে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে সামান্য অদল-বদলও অনেক সাফল্য বয়ে আনতে পারে। যেমন, সাদা রংয়ের পাস্তা বা সাদা আটার রুটির বদলে আপনি বাদামি রঙের পাস্তা বা বাদামি গমের আটার রুটি খাওয়া শুরু করতে পারেন। কেক বা চিপসের বদলে, সবজির স্টিক খেতে পারেন। এর জন্য খুব একটি কষ্ট করতে হবে না।

নতুন বছরের সংকল্পকে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে রূপ

সবচেয়ে ভালো এবং কার্যকরী নববর্ষ সংকল্প সেগুলোই, যেগুলো আপনার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের একটি অংশ হবে। আপনার যদি খেলাধুলোর ব্যাপারে আগ্রহই না থাকে, তাহলে আপনার পক্ষে একজন চৌকস অ্যাথলেট হওয়া কখনই সম্ভব নয়। মনোবিজ্ঞানী ড, অ্যান সুইনবোর্ন বলছেন, ‘যেসব মানুষ মনের জোরের ওপর নির্ভর করে, তাদের ব্যর্থতার সম্ভাবনা বেশি।’ সুতরাং এমন সংকল্প নিন, যা নিয়ে আপনার আগ্রহ রয়েছে।




সূত্র: কালের কণ্ঠ

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad