সুস্বাদু পনিরে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। এতে মিলবে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, ফসফরাসসহ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নানা উপাদান। পনিরের ৮০ থেকে ৮৬ শতাংশই প্রোটিন। ৯টি এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকায় পনির শরীরের বৃদ্ধি, টিস্যুর গঠনে সাহায্য করে। আর এসব অ্যাসিড শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়িয়ে হরমোন, উৎসেচকের কার্যকারিতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।
পনিরের ২০ শতাংশই মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এটি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রাখে। আর এতে থাকা লিনোলিক অ্যাসিড ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট সুস্থ রাখে হৃদযন্ত্র। এতে রক্তসঞ্চালনা থাকে স্বাভাবিক।
বয়স ও উচ্চতার তুলনায় যাদের ওজন কম, তারা স্বাস্থ্যকর উপায়ে যদি ওজন বাড়াতে চান; তবে নিশ্চিন্তে খাদ্যতালিকায় যুক্ত করুন পনির। এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি, আর কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম। ফলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
নিয়মিত পনির খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। এতে লিনোলিক অ্যাসিড রয়েছে থাকায় শরীরের ফ্যাট বার্ন করতেও সাহায্য করে। আর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা শরীরের পেশি ও হাড়কে সুগঠিত করে। বাড়ন্ত বাচ্চাদের তাই নিয়মিত পনির খাওয়ানো প্রয়োজন। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকায় পনির রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সতর্কতা : পনিরে ল্যাকটোস থাকায় এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে বদহজম ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। পনির থেকে মেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি, যে কারণে এটি অতিরিক্ত খাওয়া উচিৎ নয়। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পনির খাওয়া উচিৎ হবে না। কারণ এতে থাকা সোডিয়াম আপনার শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। পনিরে রয়েছে ফ্যাট। তাই এটি পরিমিত খাওয়াই ভালো। কোনও ধরনের আঁশ না থাকায় বেশি পনির খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে।
সূত্র: বি আর
No comments:
Post a Comment