প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক ; পোভেদা হল ভয়ে গা ছমছম করা একটি ভূতের দ্বীপ।‘পোভেগলিয়া’ শব্দটির ইতালীয় উচ্চারণ ‘পোভেদা’। ক্ষুদ্র এ দ্বীপটি উত্তর ইতালির লিডো এবং ভেনিস-এর মধ্যে অবস্থিত।একটি ছোট খাল দ্বারা দ্বীপটি দুটি পৃথক অংশে বিভক্ত। বলা হয়, পোভেদা দ্বীপ পৃথিবীর বিষাদময় গা ছমছম করা ভয় জাগানো স্থানগুলোর মধ্যে একটি। যেখানে অনেক অস্বাভাবিক কার্যক্রম ঘটে। দ্বীপটিতে অনেক প্লেগ পিট রয়েছে, যা গণকবর হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এখানে ব্ল্যাক ডেথের শিকার ব্যক্তিদের কবর দেওয়া হয়েছিল।
শতাব্দী ধরে এই দ্বীপে ১ লাখেরও বেশি লোককে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হয়, এই সব মৃতঃ ব্যক্তিদের আত্মা এখানে সবসময় ঘোরা-ফেরা করে এবং অনেক ভংকর কার্যক্রম ঘটায়। ৪২১ সালের দিকে পাদুয়া ও এস্টের লোকেরা বর্বর আক্রমণ থেকে পালিয়ে গিয়ে এই দ্বীপে প্রথম আশ্রয় নেয়। ৯ ম শতাব্দী থেকে দ্বীপের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ১৩৭৯ সালে জেনোয়ান ফ্লিট ভেনিস-এর ওপর হামলা চালালে পোভেদার লোকেরা গিউদিক্কায় পালিয়ে যায়। পরবর্তী শতাব্দীতে দ্বীপটি জনশূন্য হয়ে পড়ে।
১৬৪৫ সালে ভেনিস সরকার পাঁচটি অষ্টভুজাকৃতির দুর্গ নির্মাণ করে দ্বীপবেষ্ঠিত লেগুনের প্রবেশদ্বারকে রক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। বর্তমানে টিকে থাকা সেই অষ্টভুজাকৃতির দুর্গর একটি রয়েছে এই পোভেদায়। ১৭৭৬ সালে দ্বীপটি পাবলিক হেলথ অফিস-এর অধীনে আসে এবং জাহাজে আসা পণ্য ও মানুষদের জন্য একটি চেক পয়েন্ট হয়ে ওঠে। ১৭৯৩ সালে দুটি জাহাজে প্লাবনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। এর ফলে দ্বীপটিরও ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং এটিকে একটি অস্থায়ী কারাবন্দী স্টেশনে রূপান্তরিত করা হয়। নেপোলিয়ন বোনাপার্টের শাসনের অধীনে ১৮০৫ সালে তা স্থায়ী হয়।
বিংশ শতাব্দীতে দ্বীপটি আবার একটি কোয়ারেনটাইন স্টেশন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে ১৯২২ সালে টিকে থাকা ভবনটি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়। একজন ডাক্তার রোগীদের পরীক্ষা করেন। পরে তিনি নিজেকে মৃত মানুষের আত্মাদের দ্বারা চালিত হচ্ছেন বলে দাবি করেন। এক সময় তিনি হাসপাতালের টাওয়ার থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। ১৯৬৮ সালের পর হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে গেলে দ্বীপটি কিছুদিন কৃষিকাজে ব্যবহৃত হয়। তারপর সম্পূর্ণরূপে পরিত্যক্ত হয়। এর পর দিনে দিনে দ্বীপটি হয়ে ওঠে প্যারানরমাল শোস গোস্ট অ্যাডভেন্ঞারস ট্যুরিজম।
পি/ব
No comments:
Post a Comment