নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বৃহস্পতিবার থেকে সরকারিভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তকমা পেল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। উপত্যকাকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে মোদি সরকার। একটি জম্মু-কাশ্মীর– দ্বিতীয়টি লাদাখ। আজ থেকেই উপত্যকার পুলিশের ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সব দায়িত্ব থাকবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাতে। উপত্যকার নতুন নির্বাচিত সরকার হলে তার হাতে শুধু থাকবে জমির মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণের অধিকার।
কেন্দ্র সরকার ‘জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন-২০১৯’ কার্যকরী করেছে। এই নতুন আইনের বলে শুধু জমির নিয়ন্ত্রণ থাকবে নির্বাচিত সরকারের হাতে। জমি বন্টন– হস্তান্তর– জমি ভাড়া দেওয়া– কৃষি জমি বন্টন– কৃষি ঋণ সংক্রান্ত বিষয়গুলি থাকবে উপত্যকার নির্বাচিত সরকারের হাতে। একইভাবে নির্বাচিত সরকারের হাতে থাকবে জমি রেকর্ড– রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত বিষয়গুলিও। অন্যদিকে– পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়গুলির নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি থাকবে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে। আর এই গভর্নর থাকবেন কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে।
অর্থাৎ– গভর্নরের মাধ্যমে উপত্যকায় পুলিশ-প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করবে মোদি সরকার। পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী– জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা রাখা হলেও লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকবে না। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য অবশ্য একটাই হাইকোর্ট থাকবে। সেক্ষেত্রে জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ‘কমন আদালত’ হিসেবে কার্যকরী হবে। এছাড়াও সরকারি আমলাদের বদলির প্রক্রিয়াও শুরু হবে বৃহস্পতিবার থেকে। উপত্যকাবাসীর আসা এই নতুন নিয়মে কেন্দ্রীয় সুবিধা পেতে আর কোনো বাধা রইল না। এত দিন কিছু স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক দল নিজেদের মধ্যে ৩৭০ ধারার বিশেষ ক্ষমতা বলে সব কিছু নিজেদের কুক্ষিগত করে রেখেছিল।
পি/ব
No comments:
Post a Comment