কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে সবুজ সঙ্কেত, পৌষ মেলা হবে, ঘোষণা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 19 October 2019

কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে সবুজ সঙ্কেত, পৌষ মেলা হবে, ঘোষণা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের



দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন, ১৯ সেপ্টম্বরঃ        কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে সবুজ সঙ্কেত পেতেই, পৌষ মেলা হবে বলে ঘোষণা করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।  পৌষ মেলা নিয়ে সমস্ত বিতর্কের অবসান। যথারীতি নিয়ম মেনেই অনলাইনে পৌষমেলার স্টলের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। থাকবে মেলা হয়ে যাওয়ার পর স্বচ্ছতার বিষয় এবং গোটাটাই হবে অন লাইনে। সাত দিনের মধ্যে এব্যাপারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করবে বলে জানান, বিশ্বভারতীর শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সাম্মানিক সম্পাদক অনিল কোনার।


এদিনের আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন,  বিশ্বভারতীর কর্মীপরিষদের চেয়ারম্যান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, ভারপ্রাপ্ত কর্ম সচিব আশা মুখোপাধ্যায়, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সাম্মানিক সম্পাদক অনিল কোনার প্রমুখ। এই খবর শোনার পর খুশির হাওয়া বিভিন্ন মহলে। বিশ্বভারতীর  প্রবীন  আশ্রমিক থেকে ব্যবসায়ীরা এই ঘোষণায় খুশি প্রকাশ করেন। বিশ্বভারতীর প্রবীন আশ্রমিক এটা সাধু উদ্যোগ। যখন পৌষ মেলা হবে না শুনেছিলাম তখন বলেছিলাম এটা অভাবিত সিদ্ধান্ত। এখন শুনছি আবার মেলা করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে এটা সাধু উদ্যোগ।


 আমি স্বাগত জানাচ্ছি। জানালেন আশ্রমিক অমিত্র সূদন ভট্টাচার্য।  বোলপুর ব্যবসায়িক সুনীল সিং বলেন, আমরা খুব খুশি। মেলাটা বন্ধ হলে ক্ষতি হত আমাদের। তবে চাইব মেলাটা যেন আগের মত আমাদের সুবিধা দেওয়া হয়।  অন্যদিকে, পরিবেশ বিদ সুভাষ দত্ত বলেন, বিশ্বভারতীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত।


তবে আমার প্রশ্ন কেন দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে ঘোষণা করলেন আমরা পৌষ মেলা করব না? আজ যদি তারা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কোন নিয়ম না মানতে পারেন, তাহলে কী বলতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয় তুলে দেব? একথা যেমন বলতে পারেন না, তেমনি পৌষ মেলা বন্ধ করতে পারেন না। পৌষ মেলা তো কেউ বন্ধ করতে বলে নি।  আমাকে সামাজিকভাবে একটি দোষারোপ করেন। আমার লক্ষ্য ছিল পৌষ মেলাকে একটা পরিবেশ বান্ধব মেলা হিসেবে মডেল হিসেবে গড়ে তুলব।  এব্যাপারে মামলা টা আছে বুধবার। আমি যাচ্ছি।   



 চলতি বছরের ৪ তারিখ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে, যে পৌষ মেলার ধর্মীয় আচার রীতি নীতি ঐতিহ্য মেনে পালন হলেও, সুবিশাল মেলার দায়িত্ব বিশ্বভারতী নেবেনা। তারপরেই বিশ্বভারতী ট্রাস্টও একইভাবে এই দায়িত্ব একাই চালাতে অপারগ বলে জানায়। এভাবে শতাব্দী প্রাচীন মেলার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।  এদিকে বিশ্বভারতী স্থায়ী উপাচার্য পাওয়ার পর থেকে একে একে বসন্ত উৎসব ও পৌষ মেলা বন্ধ হওয়ার ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বিশ্বভারতীর অন্দরে ও বাহিরে। তবে বেশীরভাগ মানুষ অখুশি হয়ে পড়ে।   



চলতি বছরের  ৯ জুন  কোর্ট মিটিংয়ে বসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেদিন কেন্দ্রীয় গ্রহ্নাগারের উপরতলায় বিশ্বভারতীর কোর্ট মিটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আচার্য তথা রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের প্রতিনিধি সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, শিল্পপতি সঞ্জয় বুধুয়া, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রমূখ। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর নজরে এনে মন্ত্রকের কাছে দরবার করা হবে। স্বভাবতঃই  পৌষ মেলার ভবিষ্যৎ  নিয়ে ‘বল’ এবার ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের কোর্টে ইতদিন ছিল। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভায় উত্থাপন করেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। 



 তবে শনিবার বিশ্বভারতীর শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের  সাম্মানিক সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, মেলা হবে। বিশ্বভারতী পরিচালনা করবে।  অনলাইন ব্যবস্থা ম্যাপ কাস্টিং  হয়েছে। অনলাইনে বুকিং হবে। সেটা সিদ্ধান্ত হল। সাত দিনের মধ্যে পরিষ্কার হবে। বিশ্বভারতী মেলা পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।




পি/ব

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad