প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক ;
চীন:
চীনের তুইজা গোষ্ঠীর মেয়েরা বিয়ের ঠিক এক মাস আগে থেকে প্রতিদিন নিয়ম করে এক ঘণ্টা ধরে কাঁদে। বিয়ের যখন ২০ দিন বাকি তখন মা তার সঙ্গে এ প্রাকবিবাহ কান্নায় যোগ দেন। এরপর ২০ দিনের মাথায় এ আসরে যোগ দেন কন্যার নানি। শেষের দিনগুলোতে পরিবারের বাকি সব মেয়েও এতে যোগ দেয়। উদ্দেশ্য একটাই, বিয়ের আনন্দ প্রকাশ করা। আসলে তারা যা করেন তা হল নিচুস্বরে এক ধরনের গান, যা কান্নার মতোই শোনায়। এটাই তাদের ঐতিহ্য।
মঙ্গোলিয়া:
চীনের মঙ্গোলিয়ান গোষ্ঠীর কারও বিয়ের তারিখ ঠিক করতে হলে হবু বর-বধূকে একটি ছুরি নিয়ে একসঙ্গে একটি মুরগির ছানা জবাই করতে হয়। তারপর দেখা হয় সেই মুরগি ছানাটির কলিজার রঙ কেমন। যদি তা টাটকা এবং শুদ্ধ মনে না হয়, তবে বিয়ে আর হবে না। অপেক্ষা করতে হবে এভাবে যতদিন না দুজনে মিলে জবাই করা একটি মুরগিছানার কলিজার রঙ টাটকা দেখতে পায়। তবেই নির্ধারিত হবে বিয়ের তারিখ আর তারপরই বিয়ে।
ভারত :
ভারতে মাঙ্গলিক মনে করা হয় এমন সব মেয়েদের প্রথমে কোনো একটি গাছের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর গাছটি কেটে ফেলা হয়। মনে করা হয়ে থাকে যেসব মেয়ে মাঙ্গলিক হয়, বিয়ের পর পরই তাদের স্বামীর মৃত্যু হয়। এ অভিশাপ থেকে বাঁচতে প্রথমে তাদের গাছের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তা ধ্বংস করে ফেলা হয়। এর মানে হল তাদের উপর থাকা অভিশাপ কেটে গেল গাছের সঙ্গে প্রথম বিয়ের ফলে, এবং তার স্বামীও মারা গেছে। এবার তার দ্বিতীয়, মানে আসল বিয়েতে আর কোনো বাধাই থাকল না।
উত্তর বরনিও :
উত্তর বরনিওর তাইডং উপজাতির রীতি অনুযায়ী বিয়ের পর নব দম্পতিকে তিন দিন এবং তিন রাত পর্যন্ত ঘরে আটকে রাখা হয়। এ তিনদিন এবং তিন রাত তাদের আটকে রাখা মানে কোথাও যেতে দেয়া হয় না। এমনকি প্রাকৃতিক কাজকর্মে সাড়া দেবারও কোনো সুযোগ দেয়া হয় না।
পি/ব
No comments:
Post a Comment