প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক ; এঞ্জেল আই (ব্যাড) হন্যে হয়ে খুঁজছে বিল কারসেন ওরফে জ্যাকসনকে, যে জানে বহুমূল্য কনফেডারেট সোনার মুদ্রা কোথায় লুকানো আছে। নিষ্ঠুর এঞ্জেল আই সোনার জন্যে একাধিক নরহত্যা করেছে। আসলে যারা তাকে ভয়ে বা সোনার লোভে সাহায্য করছে তাদেরই সে হত্যা করেছে অসহায়ভাবে। অন্যদিকে তাড়া খাওয়া আউটল টুকো (আগলি) কে নামহীন আগন্তুক ব্লণ্ডি (গুড) বাঁচায় বাউন্টি হান্টারদের থেকে। যদিও তাদের বন্ধুত্ব হয় সাময়িক। টুকোকে ধরিয়ে দিয়ে পুরষ্কারের টাকা নিয়ে ব্লন্ডি নিখুঁত লক্ষ্যে গুলি করে টুকোর ফাঁসির দড়ি কাটতে থাকে বারবার। এভাবেই চলে তাদের রোজকার।
কিন্তু একবার মতবিরোধের ফলে ব্লন্ডি টুকোকে শহর থেকে অনেক দূরে নির্জন এলাকায় ফেলে চলে আসে। টুকো কুৎসিত গালাগালি করে ও প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়। কোনোরকমে সেখান থেকে ফিরে সে একটি অস্ত্রের দোকান থেকে অস্ত্র ছিনতাই করে। বহুবার চেষ্টার পরে ব্লন্ডিকে বেকায়দায় পেয়ে টুকো তাকে বন্দী করে হাঁটিয়ে নিয়ে যায় মরুভূমির ভেতর তীব্র রোদে। আগলি ওরফে টুকো একসময় নির্জন মরুভূমির ভেতর ব্লন্ডিকে হত্যা করতে যাওয়ার মুহুর্তেই নাটকীয় ভাবে সন্ধান পায় কারসেনের। একটি স্টেজগাড়ির ভেতরে আহত কারসেনকে পাওয়া যায়। কারসেন মৃত্যুর আগের মুহুর্তে জানিয়ে যেতে পারে ব্লন্ডিকে ঠিক কোন কবরের নিচে লুকানো আছে সেই সম্পদ। মৃতপ্রায় ব্লণ্ডিকে আবার শুশ্রূষা করতে থাকে টুকো, সোনার লোভে।
দুজনে আবার সোনার খোঁজে বের হলে এঞ্জেল আই এর সেনাদের হাতে তারা অর্থাৎ টুকো ও ব্লন্ডি ধরা পড়ে। টুকোকে অত্যাচার করে কবরখানার সন্ধান পেলেও কবরের নাম বা নাম্বার জানতে পারেনা কারন সেটা জানে একমাত্র ব্লন্ডিই। অগত্যা এঞ্জেল আই ব্লন্ডিকে সাথে নিয়ে অভিযানে বেরোয়। টুকো সেনার হাত ফসকে পালিয়ে যোগ দেয় ব্লন্ডির সাথে। এবং যখন নির্দিষ্ট কবরের সামনে দুজনে মুখোমুখি হয় তখন তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে উপস্থিত হয়েছে এঞ্জেল আই। শুরু হয় থ্রি মেন ডুয়েল।
pb
No comments:
Post a Comment