নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হাই ব্লাড প্রেসার আমাদের জন্মগত কোনো রোগ নয়।সুতরাং এই রোগ মহামারীর মত ছড়িয়ে ছে তার প্রধান কারণ হলো ট্রেসফুল লাইফ। চলুন জানি এই রোগ থেকে কি করে বেরিয়ে আসা যায়।
খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতা :
কম চর্বি ও কম কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন খাসি বা গরুর গোশত, কলিজা, মগজ, গিলা, গুর্দা, ডিম কম খেতে হবে। কম তেলে রান্না করা খাবার এবং ননী তোলা দুধ, অসম্পৃক্ত চর্বি যেমন সয়াবিন, ক্যানোলা, ভুট্টার তেল অথবা সূর্যমুখীর তেল খাওয়া যাবে। বেশি আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা ভালো। আটার রুটি এবং সুজি জাতীয় খাবার পরিমাণমত খাওয়া ভালো।
অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে :
খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। একবার লক্ষ্য অনুযায়ী ওজনে পৌঁছালে সীমিত আহার করা উচিত এবং ব্যায়াম অব্যাহত রাখতে হবে। ওষুধ খেয়ে ওজন কমানো বিপজ্জনক। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওজন কমানোর ওষুধ না খাওয়াই ভালো।
মদ্যপান :
অতিরিক্ত মদ্যপান পরিহার করতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম :
সকাল-সন্ধ্যা হাঁটাচলা, সম্ভব হলে দৌড়ানো, হালকা ব্যায়াম, লিফটে না চড়ে সিঁড়ি ব্যবহার ইত্যাদি।
ধূমপান বর্জন :
ধূমপান অবশ্যই বর্জনীয়। ধূমপায়ীর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকুন। তামাক পাতা, জর্দা, গুল লাগানো ইত্যাদিও পরিহার করতে হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ :
যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের অবশ্যই তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
মানসিক ও শারীরিক চাপ সামলাতে হবে :
নিয়মিত বিশ্রাম, সময়মত ঘুমানো, শরীরকে অতিরিক্ত ক্লান্তি থেকে বিশ্রাম দিতে হবে। নিজের শখের কাজ করা, নিজ ধর্মের চর্চা করা ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক শান্তি বেশি হবে।
লবণ নিয়ন্ত্রণ :
তরকারিতে প্রয়োজনীয় লবণের বাইরে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করতে হবে।
সবশেষে বলব যাদের অতিরিক্ত রক্তচাপের টেন্ডেন্সি রয়েছে তারা নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে প্রেশার চেক করাবেন। কারণ রক্তচাপ ঠিকঠাক থাকলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment