নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভিন ধর্মের এক যুবকের সাথে কথা বলার অপরাধে আদিবাসী তরুণীকে বেধড়ক মারধোরের অভিযোগ আদিবাসী ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে। যদিও, আতঙ্কিত পরিবার এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করে নি। জানা গেছে, এই কথা বলার সময় লোকজন তাদের দেখে ফেলে, তারপর চারজন যুবক মিলে গ্রামের পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে আদিবাসী তরুণীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি, ৫০০০ টাকা জরিমানা না দিলে সন্ধ্যার মধ্যেই গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি আদিবাসী ক্লাবের পক্ষ থেকে। অভিযোগ, গতকাল প্রায় ৮-৩০ নাগাদ বোলপুর থানার অন্তর্গত রায়পুর সুপুর পঞ্চায়েতের মির্জাপুর গ্রামের এক আদিবাসী তরুণী গ্রামের বাইরে রাস্তার ধারে ভিন্ন ধর্মের এক যুবকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় আদিবাসী গ্রামের ক্লাবের লোকজন তাকে দেখে ফেলে। তারপর তরুণীকে মারধোর করার পর গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে মারধর শুরু করে ও শ্লীলতা হানি করে বলে অভিযোগ।
তরুণী চিৎকার করলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তারপর তরুণী সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। ইতিমধ্যে ঐ যুবক পালাতে সক্ষম হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই তরুণীর পরিবার ঘটনাস্থলে আসে এবং তাদেরও মারধর করে বলে অভিযোগ। রাতেই ঘটনার খবর পেয়ে বোলপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তরুণীর সমস্ত কথা শোনে। ফের শনিবার সকালে ক্লাবের কাছাকাছি প্রায় ৪০ জনের মতন গ্রামের লোকজনও ক্লাবের সদস্যরা সালিশি সভা করে তরুন-তরুনীর পরিবারকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করে।
এমনকি, সন্ধ্যার মধ্যে সেই টাকা না দিলে ঘরে তালা দিয়ে তাদেরকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে আদিবাসী তরুণী ও তরুনীর পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। যদিও বোলপুর থানার পুলিশ জানায়, এব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। রায়পুর সুপুর পঞ্চায়েতের প্রধান নিখিল বাসার জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এভাবে সামান্য কথা বলার জন্য মারধোর, ফতোয়া বা ফাইন করা যায় না। গোটা বিষয়টি দেখছি এবং ঐ নির্যাতিত আদিবাসী পরিবারকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়া হবে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment