গার্লস হোস্টেলের কিছু গোপন কথা

সেলফি তোলাঃ
 হয়তো ভাবছেন সেলফি তোলা আর কি এমন আলাদা ব্যাপার, সে তো সবাই তোলে। কিন্তু মেয়েরা হোস্টেলে থাকা কালীন যখন খুব বোর হয়ে যায় তখন বিভিন্ন রকম জামাকাপড় পড়ে সেলফি তোলে। কখনো একাই আবার কখনো বন্ধুদের সাথে মিলে তোলে।


 নতুন নতুন সম্পর্কঃ
হোস্টেলে থাকা কালীন মেয়েরা খুব একাকীত্ব বোধ করে। ছেলেদের থেকে মেয়েদের মধ্যেই এই ব্যপারটি বেশি লক্ষ করা যায়। তখন তার রুমমেট হয়ে ওঠে তার বন্ধু – পরিবার সবকিছু। তারা নিজের মনের সমস্ত কথা বলে তাকে। ফলে নিজের পরিবারের মানুষের থেকেও অনেক আপন হয়ে ওঠে সেই রুমমেট।


আলোচনা এবং সমালোচনাঃ
 হোস্টেলে সবাই একসঙ্গে থাকলে গল্প তো হয়ই। সবাই একসঙ্গে থাকলে শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। পরনিন্দা পরচর্চা করা হল মেয়েদের অন্যতম বিশিষ্ট। তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনা করে থাকে। কে বেশি মোটা, কে বেশি রোগা সেই নিয়ে বিতর্ক চলে। ফিগার নিয়ে সচেতনতার কারণে তারা শরীরচর্চা শুরু করে দেয়। একজনকে দেখে সবাই শুরু করে শরীরচর্চা।


পোশাকের আদানপ্রদানঃ
 মেয়েদের একটা স্বভাব হচ্ছে অনেক জামাকাপড় থাকা সত্ত্বেও কোথাও যাওয়ার সময় কি পড়বে তা বুঝে উঠতে পারে না, কিছুই পছন্দ হয়না। নিজের আলমারি থেকে যখন কিছু পছন্দ হয়না তখন নজর যায় বান্ধবীর আলমারিতে। তারপর থেকেই শুরু হয়ে যায় পোশাক অদলবদল।


সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাঃ 
অনেক মেয়ে একসঙ্গে থাকলে নিজের মধ্যে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। কে কত বেশি সুন্দর ? নিজেকে বেশি সুন্দর প্রমাণ করতে গিয়ে সবাই খুব সাজগোজ করে। আর রাতে খাবার খেয়ে নিজেদের ঘরে গিয়ে শুরু হয় বিভিন্ন রকম মজা। কেউ মডেলিং করে, কেউ নাচানাচি করে, আবার কেউ নিজের মতো থাকতে বেশি পছন্দ করে। 


নতুন নতুন সম্পর্কে আবদ্ধঃ 
নিজেদের পরিবারের থেকে অনেকটাই দূরে থাকে হোস্টেল বাসিরা । স্বাভাবিকভাবেই একটি মেয়ে হোস্টেলে থাকতে এলে সম্পূর্ণরূপে একা হয়ে পড়ে কিন্তু রসায়ন জমে ওঠে তার রুমমেটের সাথে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রুমমেটের সাথে তৈরি হয়ে যায় এক অদ্ভুত সম্পর্ক । মেয়েটির জীবনের সমস্ত কিছু ঘটনা আদর্শ দার্শনিক হয়ে উঠতে পারে সেই রুমমেট ।


দূরভাষে বাক্যালাপ: 
হোস্টেলের প্রতিটা কোণে একটা দৃশ্য একেবারে কমন। হোস্টেলের প্রতিটা কোণা খাপচিতে একজনকে দেখা যাবে ফোনে কথা বলতে। তবে তা অবশ্যই দু-চার মিনিটের ব্যাপার নয়।




 পি/ব