হলুদ এবং হলদে দুধের স্বাস্থ্য উপকারিতা - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 20 October 2019

হলুদ এবং হলদে দুধের স্বাস্থ্য উপকারিতা



প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক ;     ১ অনিদ্রা দূর করতে যাদের অনিদ্রার বা ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা কুসুম গরম গোল্ডেন মিল্ক অর্থাৎ হলুদ দুধ রাতে ঘুমাতে যাবার আগে খেলে ভালো উপকার পাবেন। 

২ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে হলুদের একটি সক্রিয় উপাদান টিউমার সৃষ্টিকারী রেডিয়েশনের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। হলুদ ক্যান্সার কোষকে নষ্ট করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে যেমন টি-সেল লিউকেমিয়া, কোলন ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারের কোষ।



৩ আর্থ্রাইটিসের জন্য উপকারী প্রদাহবিরোধী গুনাগুনের জন্য এটি অস্টিওআর্থ্রাইটিস এবং রিউমাটোয়েড আর্থ্রাইটিসের জন্য উপকারী। হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারনে হাড়ের প্রদাহ ও ব্যাথা দূর করতে পারে। এছাড়া এটি ফ্রী রেডিকেলকে ধ্বংস করে যা শরীরের কোষকে নষ্ট করে। হলুদ পেস্ট মালিশ করেও অনেক ধরনের ব্যাথা উপশম হয়।



৪ প্রাকৃতিক অ্যাস্পিরিন এটি মাথা ব্যাথা, ফুলে যাওয়া ক্ষত ও ব্যাথা উপশম করতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৫ ওজন কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১ চা চামচ হলুদ পেস্ট প্রতি বেলার খাবারে রাখলে ওজন কমাতে এবং স্থূলতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। হলুদ খাবারের ফ্যাটের বাইল সল্টের ভাঙ্গনের গতি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই যদি ওজন কমাতে চান বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে গোল্ডেন মিল্ক বা হলদে দুধ খান।



৬ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় কার্যকরভাবে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে হলুদ ঔষধের মত কাজ করে। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন প্রতিবন্ধকতা কমাতে সাহায্য করে।

৭ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে তা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। হলুদের এবং হলুদের তৈরি দুধ খেলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রেখে হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।



৮ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে হলুদের প্রদাহ বিরোধী, ভাইরাস বিরোধী, ব্যাকটেরিয়া বিরোধী, ফাঙ্গাল বিরোধী বৈশিষ্ট্য প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।কারন প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হলে ঠাণ্ডা কাশি থেকে শুরু করে বেশির ভাগ রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। এজন্য হলদে দুধ খুবই উপকারী।



৯ ত্বক উজ্জ্বল ও সমস্যা মুক্ত রাখতে বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যাতেও হলুদ বেশ উপকারী। এছাড়া এটি মুখের মাস্ক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয় উজ্জ্বল এবং তারুণ্যদীপ্ত।

১০ ডায়রিয়ার চিকিৎসায় হলদে দুধ বদ হজম এবং ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই লো-ফ্যাট দুধ ব্যবহার করতে হবে কারন হাই ফ্যাট দুধ ডায়রিয়া বাড়িয়ে দেবে।



 ১১ যকৃতের রোগ প্রতিরোধ করে হলুদ গুরুত্বপূর্ণ এনজাইমের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে যা যকৃতকে রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। হলুদ দেহের দূষণ দূর করে দেহের সমস্ত বিষাক্ততা দূর করতে সাহায্য করে। এটি রক্ত প্রবাহকে বাড়িয়ে যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 



১২ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হলদে দুধ যেমন ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে পারে ঠিক তেমনি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তবে এই ক্ষেত্রেও লো ফ্যাট দুধ ব্যবহার করুন।



১৩ আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধে হলুদ মস্তিস্কের বিভিন্ন প্লাক দূর করতে সাহায্য করে যার ফলে বিভিন্ন মানসিক রোগ হয় যেমন আলঝেইমার প্রতিরোধ করে। হলুদ মস্তিস্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে মস্তিস্কের কাজকে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং আলঝেইমার রোগের গতিকে ধীর করে এবং প্রতিকার করার চেষ্টা করে।




পি/ব

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad